Wednesday 20 September 2017

অস্ট্রিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষা ও খরচপাতি নিয়ে ফুল গাইডলাইনস !!

study in austria from bangladesh
Study in Austria From Bangladesh

আপনি কেন অস্ট্রিয়াতে পড়বেন ?
অস্ট্রিয়া সেন্ট্রাল ইউরোপের একটি অর্থনৈতিক শক্তিশালী সেনজেনভুক্ত দেশ। এ দেশের প্রধান ভাষা জার্মান ( অস্ট্রীয় জার্মান )। রাজধানী ভিয়েনা, যা বিশ্বের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজধানী এবং ভিয়েনা ২০১৬ সহ অনেক বারই বসবাসের জন্য সেরা শহর (১ নম্বর ) হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। । যদি ইউরোপে উচ্চশিক্ষা ও উন্নত ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবে থাকেন, তাহলে অস্ট্রিয়া হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ দেশ। এতে ৯ টি রাজ্য রয়েছে। দেশটির আয়তন ৮৩,৮৭৯ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৮৬,৬২,৫৮৮ ( ২০১৫ পর্যন্ত)। দেশটির মাথাপিছু আয় খুবই ভাল ৪৭,১৭৯ মার্কিন ডলার ( ২০১৫ পর্যন্ত )। স্বাক্ষরতার হার ৯৯%। অস্ট্রিয়ার মুদ্রার নাম ইউরো। এর উত্তরে চেক প্রজাতন্ত্র ও জার্মানি, দক্ষিনে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, পূর্বে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্চটেইন্সটাইন অবস্থিত।
অস্ট্রিয়া আবেদনের আগে যা জানা দরকার
অস্ট্রিয়াতে আপনি HSC এরপর সরাসরি ব্যাচেলরে ভর্তি হতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে ১২+ শিক্ষার যোগ্যতা থাকতে হবে এবং সেটা চলমান থাকতে হবে অর্থাৎ HSC এরপর বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলমান থাকতে হবে এবং আপনি যে বিষয়ে বাংলাদেশে পড়তেছেন ঐ বিষয়েই অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি অস্ট্রিয়ায় গিয়ে সরাসরি ব্যাচেলর শুরু করতে পারবেন না। আপনাকে ওখানে গিয়ে প্রথমে Preparatory Course করতে হবে। তারপর একটা Exam নিবে, উপযুক্ত নম্বর পেলেই কেবল ব্যাচেলর শুরু করতে পারবেন।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় ও যাবতীয় তথ্যাবলি
অস্ট্রিয়াতে কিছু পুরাতন ও বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে। তার মধ্যে University of Vienna অন্যতম। এটি ১৩৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ইউরোপের ৩য় পুরাতন ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রিয়ান সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলাদেশসহ থার্ড লিস্টভুক্ত দেশগুলোর জন্য কোন প্রকার টিউশন ফি প্রদান করতে হয় না। শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফি প্রদান করতে হয় (প্রায় ১৯ ইউরো প্রতি সেমিস্টার)। অস্ট্রিয়ার শিক্ষার মান বেশ ভাল এবং আন্তরজাতিকভাবে স্বীকৃত।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
  • SSC Transcript and Certificate
  • HSC Transcript and Certificate
  • Bachelor Running Document ( If required )
  • Bachelor Transcript and Certificate ( Applying for masters )
  • Proof of Identity ( NID/Passport copy )
  • IELTS Certificate ( If required )
  • German language Certificate ( If required )
  • Recommendation letter ( If applicable, applying for masters/PhD )
  • Motivation letter ( If applicable, applying for masters/PhD )
বিঃদ্রঃ - সকল ডকুমেন্টস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে সত্যায়িতকরতে হবে। কোথায় এবং কিভাবে করবেন সেটা ইউনিভার্সিটি থেকে জেনে নিবেন।
শিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতাঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বাংলাদেশে থেকে ১২+ পড়াশোনা, যে কোন সরকার অনুমোদিত ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে ( ব্যাচেলর এর জন্য )। SSC and/or HSC তে কমপক্ষে ৫০% নম্বর ( জিপিএ ৩, স্কেল ৫ থেকে ), ব্যাচেলরে/মাস্টার্সে ৫০% নম্বর ( জিপিএ ২.৫০, স্কেল ৪ থেকে ) থাকা ভাল। ভাষাগত যোগ্যতাঃ জার্মান মাধ্যমে পড়ার জন্য জার্মান লেভেল B2, ইংরেজি মাধ্যমের জন্য IELTS 6 or Above থাকতে হবে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল যে, এই যোগ্যতা ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন রকম হয়।
বিঃদ্রঃ- জার্মান ভাষা আপনি চাইলে অস্ট্রিয়া গিয়েও শিখতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ থেকে শিখে যাওয়া ভাল।
আবেদনের সময় ও প্রক্রিয়াঃ
অস্ট্রিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সাধারণত বছরে ২ বার আবেদন করা যায়। একটি হচ্ছে সামার যার সময়সীমা (১ ডিসেম্বর - ৫ ফেব্রুয়ারী) এবং অন্যটি উইন্টার যার সময়সীমা (১ মার্চ - ৫ সেপ্টেম্বর)। ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য আপনাকে আপনার একাডেমিক মূল ও ফটোকপি ডকুমেন্টস (এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, ব্যাচেলর, মাস্টার্স) শিক্ষাবোর্ড/ইউনিভার্সিটি (রেজিস্ট্রার), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, অস্ট্রিয়ান কনস্যুলেট/এমব্যাসি থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে, আপনার মন্ত্রণালয় থেকে সত্তয়িত ডকুমেন্টস কনস্যুলেটে/এমব্যাসিতে জমা দিলে কনস্যুলেট/এমব্যাসি সেটা যাচাই/বাছাই এর জন্য ভিএফএস ঢাকা তে পাঠিয়ে দিবে ( ভিএফএস ফি বাবদ আনুমানিক ৪৩১২০ - ৪৭০০০ টাকা দিতে হবে)। ভিএফএস সবকিছু ঠিকঠাক পেলে সেটা কনস্যুলেট/এমব্যাসি সত্যায়িত করবে (কনস্যুলেট/এমব্যাসি ফি প্রতি পেজ ৪০ ইউরো)। তারপর আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটি তে অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম অনলাইনে অথবা ডাউনলোড করে পূরণ করে সত্তয়িত একাডেমিক ডকুমেন্টস সহ সব ডকুমেন্টস ইউনিভার্সিটি এর এডমিশন অফিসে অথবা স্কেন করে ( সত্যায়িত ডকুমেন্টস এবং পূরণ করা অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম ) অনলাইনে অ্যাপ্লাই এর সময় আপলোড করতে হবে। ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার পেতে সাধারণত ৮ - ১২ সপ্তাহ লাগে। উল্লেখ্য, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া (ভিএফএস প্রক্রিয়া/কনস্যুলেট) যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য কনস্যুলেট এ যোগাযোগ করুন।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহঃ
অস্ট্রিয়াতে বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটিগুলোর ব্যাচেলর পড়ার মাধ্যম জার্মান, তবে মাস্টার্স ও পিএইচডি তে যথেষ্ট ইংরেজি মাধ্যম রয়েছে। যেহেতু বেশিরভাগ মাধ্যমই জার্মান, তাই জার্মান ভাষার যোগ্যতা হিসেবে German Language B2 লাগে আর ইংরেজি মাধ্যমের জন্য কমপক্ষে IELTS 6 লাগে। তবে আপনি জার্মান ভাষা চাইলে অস্ট্রিয়া গিয়েও শিখতে পারেন। অনেক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েই জার্মান ভাষা শিখায়। সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোতে জার্মান ভাষা শিখতে প্রতি সেমিস্টার ৪৫০-৫০০ ইউরো এর মত লাগবে। তবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সেটা অনেক বেশি ( ১৫০০-২৫০০ ) ইউরো এর মত লাগবে। অস্ট্রিয়ায় ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং হতে অনেকটা দীর্ঘ সময় লাগে (৬-১২ মাস)।

কোর্স খুঁজুনঃ http://www.studienwahl.at/Content.N...
ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
অস্ট্রিয়ান এমব্যাসি বাংলাদেশে না থাকায় আপনাকে ভিসার জন্য পাশের দেশ ভারত যেতে হবে। তবে সেজন্য আপনাকে আগে এমব্যাসির ওয়েবসাইট এ গিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এমব্যাসির ওয়েবসাইট ও এপয়েন্টমেন্ট এর লিঙ্ক সহ প্রয়োজনীয় সকল লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে। তবে যদি আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে এমব্যাসি আপনাকে ভিসা দিতে বাধ্য। কারণ ভিসার অনুমোদন সাধারণত অস্ট্রিয়ান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (যেখানে আপনার Accommodation) থেকে আসে। ব্যাংক সল্ভেন্সি হিসেবে এমব্যাসি তে যাওয়ার আগে আপনাকে নিজের ব্যাংক একাউন্টে থাকা-খাওয়া খরচ বাবদ এক বছরের জন্য [ ৫,৮৯৭.১৬ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪৯১.৪৩ ইউরো ( বয়স ২৪ পর্যন্ত হলে )/ ১০,৬৭৮.০৮ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৮৮৯.৮৪ ইউরো ( বয়স ২৪ এর উপরে হলে ) ] দেখাতে হবে, ব্লক একাউন্ট নয় (আপডেট ২০১৭)। তবে আপনার হোস্টেল/বাসা ভাড়া যদি প্রতি মাসে ২৮৪.৩২ ইউরো এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও বেশি হবে ( কত হবে সেটা অস্ট্রিয়ান অথরিটি / এমব্যাসি বলে দিবে ) - আপডেট ২০১৭। আর সে টাকা ভিসা পাওয়ার পর উঠিয়ে ফেলতে পারবেন।






পার্ট - টাইম জব ও স্থায়ী বসবাস
সংক্রান্ত তথ্য

যদিও অস্ট্রিয়া ইউরোপের উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ। তারপরেও অস্ট্রিয়াতে বর্তমানে পার্ট - টাইম কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে গেছে। অস্ট্রিয়াতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য কাজের অনুমতি সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা (ব্যাচেলর) এবং ২০ ঘণ্টা (মাস্টার্স), তবে খুব তাড়াতাড়ি ২০ ঘণ্টা (ব্যাচেলর) ও ৪০ ঘণ্টা (মাস্টার্স/পিএইচডি) হতে পারে। তবে Semester Break এবং Summer vacation এ ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। থাকা - খাওয়া মাসে প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো এর মত লাগে। জার্মান ভাষা ভাল জানা থাকলে পার্ট টাইম কাজ পাওয়াটা সহজ। তবে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ৬ - ১২ মাসের খরচ নিয়ে আসা ভাল। বৈধভাবে একটানা ৫ বছর থাকার পর আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পড়াশোনা শেষে ৬ মাস (তবে খুব তাড়াতাড়ি ১ বছরের হতে পারে) জব সার্চ ভিসা পাবেন। সব মিলিয়ে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রিয়া বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য একটি উত্তম জায়গা।

ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন। আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকি ।


Call Us To Know More 
===========================
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO  
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh


কেন আপনি আমাদের সাহায্য নিবেন?

  • আমাদের সুইডেনে নিজস্ব টিম আছে যারা আপনাকে ওখানে থাকা, জব এমনকি একাডেমীক হেল্প ও  করতে পারবে । এছাড়া আমাদের টিম আপনাকে আরও বিশেষ সাপোর্ট দিতে পারবে ।
  • সুইডেনের স্টুডেন্ট ভিসা বিষয়ে আমরা বিশেষ ভাবে দক্ষ ।
  • আমরা ইউনিএজেন্টের গোল্ড মেম্বার । তাই আপনি আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন । 
  • আমাদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত অনেক স্টুডেন্টস সুইডেনে গিয়েছেন ।  



Google ম্যাপের মাধ্যমে আমাদের অফিসে আসুনঃ

Study in Austria from Bangladesh,Austrian embassy in Bangladesh,Austria student visa requirements for Bangladeshi,Austria consultant in Bangladesh,austria student visa requirements for Bangladeshi students


Labels:

জার্মানিতে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষা ও খরচপাতি নিয়ে ফুল গাইডলাইনস !! জার্মানিতে পড়াশোনা - জার্মান স্টুডেন্ট ভিসা | জার্মানিতে স্কলারশিপ

study in germany from bangladesh
Study in Germany From Bangladesh


সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

জার্মানি ইউরোপের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী ও শিল্পোন্নত সেনজেনভুক্ত  একটি দেশ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীর কাছেই জার্মানি একটি স্বপ্নের দেশ। এর রাজধানী বার্লিন। দেশটির প্রধান ভাষা হচ্ছে জার্মান। দেশটির ১৬ টি রাজ্য রয়েছে। এর আয়তন ৩,৫৭,১৬৮ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৮,১৪,৫৯,০০০ (২০১৫ পর্যন্ত)। দেশটির মাথাপিছু আয় প্রায় ৪৭,০৩৩ মার্কিন ডলার (২০১৫ পর্যন্ত) এবং স্বাক্ষরতার হার ৯৯%। দেশটির উত্তরে ডেনমার্ক ও বাল্টিক সাগর, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড, পূর্বে চেক - প্রজাতন্ত্র ও পোল্যান্ড, পশ্চিমে ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড অবস্থিত। দেশটির আয়তন ৮৩,৮৭৯ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৮৬,৬২,৫৮৮ ( ২০১৫ পর্যন্ত)।  যদি ইউরোপে উচ্চশিক্ষা ও উন্নত ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবে থাকেন, তাহলে জার্মানি হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ দেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ও অন্যান্য তথ্যাবলীঃ

জার্মানির শিক্ষার মান খুবই উন্নত। বিশেষ করে দেশটি প্রযুক্তির জন্য সারা বিশ্বে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তাইতো জার্মানিকে বলা হয় “ Land of Ideas or Land of Engineers ”। জার্মানিতে অনেক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

-এখানে প্রায় ৯০% বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করতে কোন প্রকার টিউশন ফি দিতে হয় না।
-তবে সেমিস্টার ফি বাবদ প্রতি সেমিস্টারে ১৫০ - ৪০০ ইউরো এর মত লাগে।
-বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যম জার্মান, তবে অনেক প্রোগ্রাম ইংরেজি মাধ্যমেও পড়ানো হয়।
-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত বছরে ২ বার আবেদন করা যায়।
-একটি সামার যার সময়সীমা ( ১ ডিসেম্বর - ১৫ জানুয়ারী ) এবং অন্যটি উইন্টার, সময়সীমা ( মে - ১৫ জুলাই )।
-ভাষার যোগ্যতা হিসেবে IELTS 6 or German Language B1 অথবা দুটাই লাগে। তবে IELTS 6.5 (Each module 6 minimum) থাকলে আপনি ভিসার ক্ষেত্রে SAFE ZONE এ থাকবেন।
-কোন কোন ইউনিভার্সিটি/সাবজেক্ট এর জন্য GRE ও লাগে।
-আর এক বছরের থাকা - খাওয়া খরচ বাবদ আপনাকে ৮৬৪০ ইউরো ব্লক একাউন্টে রাখতে হবে (ডয়েচ ব্যাংকই আমার জানামতে Best), আর ব্লক একাউন্টটা করতে হবে জার্মানিতে।
-ব্লক একাউন্ট মানে হচ্ছে আপনি টাকা টা চাইলেই একাউন্ট থেকে উঠাতে পারবেন না। তবে ভিসা পেলে আপনি জার্মানিতে গিয়ে প্রতি মাসে ৭২০ ইউরো করে ব্লক একাউন্ট থেকে ১ বছরে পুরো টাকা (৮৬৪০ ইউরো) তুলতে বা দেশে পাঠাতে পারবেন
(বিঃদ্রঃ- এইটা স্টেট/সিটি অনুসারে  পরিবর্তিত হতে পারে) ।

-জার্মানিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা HSC পাশের পর সরাসরি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেনা।
-তবে HSC পাশের পর বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছর (ডিপ্লোমা পাশকৃতদের ক্ষেত্রে ১ বছর) পড়ার পর সরাসরি ব্যাচেলরে ভর্তি হতে পারবে । আরও নির্দিষ্ট করে বললে আপনাকে বাংলাদেশে কোন ইউনিভার্সিটিতে আপনার ব্যাচেলর কোর্সের ৫০% ক্রেডিট শেষ করতে হবে
( যেমনঃ ব্যাচেলরের ফুল কোর্সের ক্রেডিট যদি ১৫০ হয় তাহলে ৭৫ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হবে। )

-আর কেউ যদি HSC এর পরই জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাকে জার্মানিতে গিয়ে প্রথমে স্টুডেন্ট কলিগ (Studienkolleg) করতে হবে। তারপর তাকে একটা Entrance Exam দিতে হবে, উপযুক্ত নম্বর পেলেই কেবল ব্যাচেলর শুরু করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য আপনার সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং জার্মান এমব্যাসি - ঢাকা থেকে সত্তয়ন করতে হবে। অথবা নোটারি করলেও হয়।

বিঃদ্রঃ - আবেদনের আগে অবশ্যই ইউনিভার্সিটি থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন।  

জার্মানিতে আপনি ৩ ধরণের স্টুডেন্ট ভিসায় আসতে পারবেনঃ 

।  Students visa (Fix term Language course): এই ভিসায় সাধারন ৩/৬ মাসের হয়ে থাকে। কোনভাবেই আপনি এই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জার্মানিতে থাকতে পারবেন না। কারন আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না । ফিক্স করে দেয়া । এই ভিসাতে কোন কাজের অনুমতি নেই।

। Students Applicant Visa: যারা প্রথমে ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করে পড়ে ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবেন বলে জার্মানিতে আসতে চান তাদের জন্য । উদ্দেশ্য জার্মান ভাষা শিখে জার্মান ইউনিভার্সিটি তে স্টাডি করবেন । জার্মান ভাষায় B2 সম্পূর্ণ করে (European Framwork Level 2), একটা  পরিক্ষা দিয়ে উপযুক্ত নম্বর পেলেই মেইন কোর্স শুরু করতে পারবেন। এই ভিসাতেও আপনি কোন কাজের অনুমতি পাবেন না।

৩। Student Visa (Direct admission to University): এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যারা সরাসরি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে আসে । আপনি এই ভিসায় আসলে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন । কাজের ক্ষেত্রে ও কোন সমস্যা হবে না। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেন সরাসরি ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়ে আসতে পারেন ।

পার্ট - টাইম জব ও স্থায়ী বসবাস (পিআর) সংক্রান্ত তথ্যঃ 

থাকা - খাওয়ার খরচ মাসে সাধারণত (৪০০ - ৭০০) ইউরো পর্যন্ত। বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে ১২০ পূর্ণ দিবস বা ২৪০ অর্ধ - দিবস পার্ট টাইম কাজের অনুমতি আছে। তবে Semester Break or Summer Vacation এ ফুল টাইম কাজ করা যায়।  জার্মান ভাষা ভাল জানা থাকলে পার্ট টাইম কাজ করে খুব সহজেই নিজের খরচ ও সেমিস্টার ফি চালানো যায়।পড়াশোনা শেষে আপনি ১.৫ বছরের জব সার্চ ভিসা পাবেন। জার্মানিতে একটানা বৈধভাবে ৫ বছর থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের (পিআর) জন্যে আবেদন করতে পারবেন এবং ৮ বছর পর নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন।



ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে  আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন । আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও  সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর  কাজ করে থাকি । 


Call Us To Know More 
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh

Find Us on Google Map






হাতে সময় থাকলে আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলি পড়তে পারেন ঃ 

Labels:

আয়ারল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষা | Study In Ireland For Bd Student

study in ireland for bd student



সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

আয়ারল্যান্ড ইউরোপে অবস্থিত অন্যতম ধনী একটি দেশ। অফিসিয়াল নাম “রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড”। দেশটির রাজধানী ডুব্লিন/ডাবলিন। অফিসিয়াল ভাষা আইরিশ ও ইংরেজি এবং মুদ্রা ইউরো। আয়তন ৭০,২৭৩ কিঃমিঃ। লোকসংখ্যা ৪৭,৫৭,৯৭৬ । দেশটির মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৯০০০ ইউএস ডলার।

শিক্ষা ব্যাবস্থা, মান ও গ্রহণযোগ্যতাঃ

দেশটির শিক্ষার মান খুবই ভাল এবং আইরিশ ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বজুড়ে। এখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি সাধারণত ৩ - ৪ বছর, মাস্টার্স ১.৫ - ২ বছর এবং ডক্টরেট ৩-৪ বছরের হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে দেশের অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজিও ব্যাবহার করা হয় যদিও প্রধান ভাষা আইরিশ। তাই, এখানে সব লেবেলেই অনেক ইংরেজি মাধ্যমের কোর্স রয়েছে, যা কিনা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে থাকে না।
কিছু বিখ্যাত আইরিশ ইউনিভার্সিটি/কলেজের নাম ও ওয়েবসাইটঃ ১. ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (www.dcu.ie ) ২. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যায়ারল্যান্ড (www.nuigalway.ie ) ৩. ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন (www.tcd.ie ) ৪. ইউনিভার্সিটি কলেজ, ডাবলিন (www.ucd.ie ) ৫. রকওয়েল কলেজ (www.rockwellcollege.ie ) ৬. গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (www.gcd.ie ) ৭. অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.ait.ie )
টিউশন ফিঃ আয়ারল্যান্ডে টিউশন ফি অনেক বেশি। নিচে লেবেল ভেদে টিউশন ফি’র পরিমাণ দেওয়া হল।
ব্যাচেলরঃ ৯৭৫০ - ৫২০০০ ইউরো প্রতি সেমিস্টার
মাস্টার্সঃ ৪০০০ - ৪৫০০০ ইউরো প্রতি সেমিস্টার
ডক্টরেটঃ ৪০০০ - ৪৫০০০ ইউরো প্রতি সেমিস্টার
স্কলারশিপঃ প্রায় ১০০ এর মত স্কলারশিপ অফার করে থাকে আয়ারল্যান্ডে।

একাডেমিক ও ভাষাগত যোগ্যতাঃ

১। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি কমপ্লিট ( ব্যাচেলর এর জন্য)
২। ব্যাচেলর কমপ্লিট (মাস্টার্স এর জন্য)
৩। ব্যাচেলর এবং/অথবা মাস্টার্স কমপ্লিট (ডক্টরেট এর জন্য)
৪। আইইএলটিএস ৬-৬.৫
অন্যান্য যোগ্যতাঃ
GRE/GMAT, TOEFL এবং জব অভিজ্ঞতাও ইউনিভার্সিটি ও লেবেল/বিষয় ভেদে লাগতে পারে।
এছাড়া ইংরেজি কোর্সের জন্যও আবেদন করা যায়। ফাউন্ডেশন কোর্স হিসেবে। বিস্তারিত এখানে দেখুনঃ http://www.acels.ie/

ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় ও প্রক্রিয়াঃ

আইরিশ ইউনিভার্সিটিগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে বছরে একবার। আবেদন করতে হয় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। আবার কিছু কিছু কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে বছরে দুবারও ভর্তির সুযোগ দেয়। এটা লেবেল ও ইউনিভার্সিটি অনুসারে বিভিন্ন হয়। দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি শাখা’ বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদন করতে হয়।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য ডকুমেন্টস চেকলিস্টঃ
১। এস.এস.সি একাডেমিক ডকুমেন্টস
২। এইচ.এস.সি একাডেমিক ডকুমেন্টস
৩। ব্যাচেলর ডকুমেন্টস (মাস্টার্স এর জন্য)
৪। মাস্টার্স ডকুমেন্টস (ডক্টরেট এর জন্য)
৫। পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
৬।অ্যাপ্লিকেশান ফরম
৭। আইইএলটিএস/ভাষা এর সার্টিফিকেট
৮। টিউশন ফি পরিশোধের প্রমাণ কপি
আবেদন ফিঃ আবেদন ফি বাবদ ৪৫ থেকে ৯০ ইউরো পাঠাতে হয়। আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ প্রেরণ করে।
বিঃদ্রঃ - ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের পূর্বে উক্ত ইউনিভার্সিটি থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

ভিসা প্রসেসিংঃ

অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ভারতের নতুন দিল্লির আইরিশ দূতাবাসে, ঠিকানা : 230 Jor Bagh, New Delhi-110003, India। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের দূতাবাস নেই। ফোনেও জেনে নিতে পারেন ভিসা আবেদন ও প্রক্রিয়াসংক্রান্ত তথ্য +৯১-১১ ৪৬২৬৭১৪ নম্বরে ডায়াল করে।
ভিসা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য এমব্যাসিতে যোগাযোগ করুন। ভিএফএস কলকাতা অথবা আইরিশ এমব্যাসি দিল্লিতে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

এবং এই পিডিএফ ফাইলটা পড়ুনঃ http://www.vfsglobalirelandvisa.com/india/pdf/bangladesh_271115.pdf

খরচ ও খণ্ডকালীন কাজঃ

থাকা-খাওয়ার খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬০০ ইউরো লাগে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ আছে। আর গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ‘ফুল টাইম’ কাজ করা যায়। রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় ৭ থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে পার্ট - টাইম জব করে নিজের খরচ ও পড়াশোনার খরচ দুটাই চালাতে পারবেন না। কারণ আগেই বলেছি যে, আয়ারল্যান্ডে টিউশন ফি অনেক বেশি। তবে যদি ফুল স্কলারশিপ পান, তাহলেতো কেল্লাফতে। চোখ বন্ধ করে চলে যাবেন।

আমরা চাই আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন । আমরা পরিপূর্ণ সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর  কাজটি করি ।  

যোগাযোগ করুনঃ 
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh

কৃতজ্ঞতাঃ মেহেদী হাসান

Labels:

রাশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষা ও খরচপাতি নিয়ে ফুল গাইডলাইনস !! | রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা | রাশিয়ায় স্কলারশিপ| রাশিয়ায় পড়াশোনা



দেশ পরিচিতিঃ রাশিয়া (রুশ: Россия রশিয়া), সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত (রুশ: Российская Федерация রশিস্কায়া ফিদিরাৎসিয়া) যেটা উত্তর ইউরেশিয়াতে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত। রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড (উভয় দেশই কালিনিনগ্রাদ অব্লাস্ত সীমান্ত দিয়ে যুক্ত), বেলারুশ, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, চীন, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্ত আছে। দেশটির অখতস্ক সাগরের মাধ্যমে জাপানের সাথে ও বেরিং প্রণালীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার সাথে সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দেশ যার রয়েছে পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির এক অষ্টমাংশ। দেশটির মোট আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল)। রাশিয়া বিশ্বের নবম জনবহুল দেশ যেখানে ২০১২ হিসাব অনুযায়ী ১৪৩ মিলিয়ন লোক বসবাস করে।উত্তর এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে জায়গা সম্প্রসারণের ফলে রাশিয়া ৯টি সময় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এবং এখানে অনেক রকম ও বিস্তৃত পরিবেশের সমন্বয় ঘটেছে। রুশ বিপ্লবের পর রুশীয় সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্রীয় সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের বৃহত্তম, নেতৃস্থানীয় ও প্রয়োজনীয় সদস্য হয়ে ওঠে যা সংবিধান অনুযায়ী একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। এসময় এটি অত্যন্ত শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা পালন করে। সোভিয়েত যুগ ২০তম শতকের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত সাফল্য পেয়েছিল যার মধ্যে ছিল বিশ্বের প্রথম মহাকাশযান ও প্রথম নভোচারী। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সোভিয়েতের রুশীয় প্রজাতন্ত্র আর রুশ ফেডারেশন হিসেবে গঠিত হয় এবং একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত হয়। রুশ অর্থনীতির তথাকথিত জিডিপি ও সমক্রয় ক্ষমতা বিশ্বের মধ্যে অষ্টম বৃহত্তম।রাশিয়ার ব্যাপক খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ একে বিশ্বের বৃহত্তম মজুদদার হিসেবে তৈরি করেছে।এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ। দেশটি পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন পাঁচটি স্বীকৃত দেশের মধ্যে অন্যতম এবং দেশটির বিশ্বের বৃহত্তম ধ্বংসাত্মক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে। রাশিয়া একটি পরাক্রমশালী রাষ্ট্র যেটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং জি ৮, জি ২০, দি কাউন্সিল অফ ইউরোপ, দি এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কোঅপারেশন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, ইউরেশীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটি, ইউরোপ নিরাপত্তা সংগঠন কাউন্সিল (ও এস সি ই) ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য। স্বাধীন রাষ্ট্রের কমনওয়েলথের অন্যতম সদস্য।জেনে রাখা ভাল রাশিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশ না। রাশিয়ার শিক্ষা নিয়ে কিছু কথাঃ
রাশিয়ার বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটি পুরাতন ও এর মধ্যে কিছু বিশ্বখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
1.Lomonosov Moscow State University,
2.Saint Petersburg State University,
3. Novosibirsk State University,
4.Bauman Moscow State Technical University,
5. Moscow State Institute of International Relations,
6. Moscow Institute of Physics and Technology,
7. Peoples’ Friendship University of Russia,
8. National Research Nuclear University MEPhI,
9. Peter the Great St. Petersburg Polytechnic University,
10. National Research Tomsk State University
11. National Research University – Higher School of Economics
12. Federal State Autonomous Educational Institution of Higher Education "National Research Tomsk Polytechnic University
13. Kazan (Volga region) Federal University
14. Ural Federal University named after the first President of Russia B.N.Yeltsin
15. National Research Saratov State University
এ ছাড়াও অনেক ভাল ইউনিভার্সিটি আছে।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের যোগ্যতা, সময় ও প্রক্রিয়াঃ
রাশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর ২ বার আবেদন করা যায়। একটি সামার (ফেব্রুরারি) এই সেশানে মেইনলি কিছু ইউনিভার্সিটি ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স অফার করে থাকে। অপরটি উইন্টার (সেপ্টেম্বর) সেমিস্টার এটি রাশিয়ার মেইন শিক্ষাবর্ষ। টিউসান ফী বছরে ৮০০ - ৭০০০ আমেরিকান ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ১৫০-২০০ ডলার লিভিং এক্সপেন্সের জন্য লাগবে । এসএসসি, এইচএসসি, ব্যাচেলর এ ৫০% মার্কস থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পাওয়া সহজ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফী ১০০ ডলার কিছু ইউনিভার্সিটিতে লাগতে পারে তবে বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটিতে লাগে না। আবেদন করতে সাধারণত IELTS খুব কম ইউনিভার্সিটিতে লাগে, তবে বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটি তে লাগে না কেননা বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটি রাশিয়ান মিডিয়াম এ কোর্স অফার করে তাই ১ বছর রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স ইউনিভার্সিটির আন্ডার এ করতে হয়।
আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
১। আবেদন ফর্ম ২। পাসপোর্টের স্কান কপি ৩। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি ৪। মটিভেশন লেটার (যদি চাই) ৫। ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়ান্সি সার্টিফিকেট IELTS অথবা ইংলিশ মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকসান (যদি চাই)
নোটঃ কিছু ইউনিভার্সিটি আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট গুলোর রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ এ ট্রান্সলেট কপির স্কান কপি চাইতে পারে। যদি আপনি মনোনীত হন, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে অফার লেটার ইস্যু করবে যার জন্য ৩০-৪৫ দিন সময় লাগবে।কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অ্যাকাউন্টে আপনাকে ১ম বছর বা ১ম সেমিস্টারের টিউসান ফী প্রদান করতে বলবে তবে কথা বলে নিবেন এটি রাশিয়াতে বাধ্যতামূলক না।
ভিসাঃ
ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার পাবার পর আপনাকে রাশিয়ান ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাকার গুলশানে রাশিয়ান এম্বাসিতে।সাধারণত রবি,মঙ্গল,বৃহস্পতি এই ৩ দিন সকাল ৮ঃ৪৫ হতে ১১;৪৫ পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্টস লাগবেঃ ১ । অরিজিনাল পাসপোর্ট ২। কমপ্লিট ভিসা আবেদন ফর্ম ৩। এক কপি রঙ্গিন ছবি ৪। একটি ভ্যালিড ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট বুকিং দিতে হবে। ( এতে কোন টাকা পয়সা খরচ হয় না) ৫। অফার লেটারের হার্ড কপি ৬। লিগেলাইজ সার্টিফিকেটস(বোর্ড,এডুকেশন মিনিষ্ট্রি,ফরেন মিনিষ্ট্রি) ১সেট মেইন ও ১ সেট লিগেলাইজ ফটোকপি সার্টিফিকেটসের নোটারী করতে হবে।
৭।স্পন্সর এর এফিটএভিট অফ সাপোট(১টি ১০০ ও ১টি ৫০ টাকার স্ট্যাম্প এর উপর করতে হবে ) ৮। মেডিকেল সার্টিফিকেট ৯।ট্রান্সলেট সার্টিফিকেট(চাইলে রাশিয়া আসার পর করতে পারেন) ১০। সকল পেপারস্ এর ১ সেট ফটোকপি।
নোটঃ লিগেলাইজ ফটোকপি সার্টিফিকেটস (৪টি) সত্তায়িত করতে হবে তার জন্য প্রতি পেজ ৩০০০ টাকা করে নিবে।ভিসা ফিস ৪০০০ টাকা।ভিসা অ্যাপ্লাই করে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার ৭ দিন পর পাসপোর্ট ফেরত দিবে।পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারবেন আপনার ভিসা হইয়েছে কি হইনি যদি ভিসা না পেয়ে থাকেন তাহলে অ্যাাপিয়েল করার কোনও সুযোগ নাই ।নতুন অফার লেটার নিয়ে এসে আবার অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
স্কলারশিপঃ
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে রাশিয়ান গভর্নমেন্ট থেকে স্কলারশিপ এর জন্য রাশিয়ান এডুকেশন মিনিষ্ট্রি থেকে সার্কুলার দেওয়া হয় এইসময় ঢাকার ধানমণ্ডিতে রাশিয়ান সায়েন্স অ্যান্ড কালচারাল সেন্টারে আবেদন করতে হই।স্কলারশিপ পেলে টিউশন ফি লাগেনা ও অল্প কিছু টাকা প্রতি মাসে লিভিংকষ্ট এর জন্য পাওয়া যাই। এছাড়া রাশিয়াতে বাংলাদেশি স্টুডেন্টদের জন্য তেমন কোন ভালো স্কলারশিপ নেই।রাশিয়াতে খুব অল্প কিছু ইউনিভার্সিটি নিজস্ব স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
পার্ট - টাইম জব নিয়ে কিছু কথাঃ ছাত্র অবস্থায় আপনি সামারে অনুমতি ছাড়া জব করতে পারবেন যদি জব মেনজ করতে পারেন। আর তাছাড়া বছরের বাকি সময় কাজ করতে চাইলে আপনাকে ফেডারেল মাইগ্রেশন থেকে অনুমতি নিতে হবে সেটি বড়ই কষ্টসার্ধ ব্যাপার।
আমরা চাই আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন । আমরা পরিপূর্ণ সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর  কাজটি করি । 

Call Us To Know More 
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh
Find Us on Google

Writer: Md Abul Bashar Jehadi Sir

Labels:

চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষার সকল তথ্য | চেক রিপাবলিক স্টুডেন্ট ভিসা | স্টাডি ইন চেক রিপাবলিক | Study in Czech Republic From Bangladesh

study in czech republic from bangladesh
Study in Czech Republic From Bangladesh


সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

চেক রিপাবলিক সেন্ট্রাল ইউরোপের একটি দেশ। অফিসিয়াল ভাষা চেক। আয়তন ৭৮৮৬৬ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা ১০৫,৫৩,৪৪৩। এর রাজধানী প্রাগ। এর চারপাশের দেশ গুলি হল- অস্ট্রিয়া, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া। দেশটি ২০০৪ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অধিভুক্ত হয় এবং ২০০৭ সালে সেনজেনভুক্ত হয়। তাঁদের মাথাপিছু আয় ৩২,৬২২ ডলার। মুদ্রার নাম চেক ক্রুনা।

ইউনিভার্সিটিতে আবেদন ও অন্যান্য তথ্যাবলিঃ

শিক্ষার মানঃ
চেক রিপাবলিকের শিক্ষার বেশ ভাল। এখানে অনেক পুরাতন ও বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি আছে যেগুলি ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ এগিয়ে আছে। চার্লস ইউনিভার্সিটি, প্রাগ এর মধ্যে অন্যতম। এটি ইউরোপের ১ম পুরাতন ইউনিভার্সিটি। উচ্চ শিক্ষার জন্য চেক হতে পারে আপনার আদর্শ স্থান। বাংলাদেশে এইচএসসি পাশ স্টুডেন্টস চেক ইউনিভার্সিটি তে আবেদন করতে পারবেন।
চেকের কয়েকটি টপ র‍্যাংকড ইউনিভার্সিটি হচ্ছেঃ
  • Charles University in Prague
  • Charles Technical University in Prague
  • Masaryk University in Brno
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় ও টিউশন ফিঃ
বছরে ২ টা সেশানে অ্যাপ্লাই করা যায় ডিসেম্বর এবং মে। টিউশন ফি প্রতি বছরে ২০০০-৩৫০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে।
চেক ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লিকেশান এর সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ( ইংরেজি মাধ্যম )
( ব্যাচেলর, মাস্টার এর জন্য )
  • অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন
  • অ্যাপ্লিকেশান ফি ২০ - ৮০ ইউরো
  • আপনার ২ কপি ছবি ( সাইজ ইউনিভার্সিটি বলে দিবে)
  • ( ব্যাচেলর, মাস্টার এর জন্য)র সার্টিফিকেট ট্রান্সকিপ্টের নোটারি কপি ( কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত কপি চায় )
  • ইউরোপাস ফরম্যাটের সি ভি
  • মোটিভেশন লেটার।
  • আইইএলটিএস স্কোর ৬ - ৬.৫ ( প্রিভিয়াস স্টাডি মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকসান ইংলিশ হলে আইইএলটিএস লাগবে না, সেক্ষেত্রে আপনার ইউনিভার্সিটির রেজিস্টার বা এক্সাম কন্ট্রোলারের নিকট থেকে এই সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে )
  • ওয়ার্ক এক্সপেরিয়ান্স যদি থাকে ( ইন্টারনসিপের সার্টিফিকেট দিতে পারেন )
  • ২ টি রেকমেনডেসান লেটার
  • পাসপোর্টের ফটোকপি
উপরোক্ত ডকুমেন্টের হার্ড কপি সমূহ আপনাকে ইউনিভার্সিটির অ্যাড্রেসে ডেডলাইনের মধ্যেই পাঠাতে হবে। তারপর আপনাকে এনট্রান্স টেস্ট অথবা স্কাইপ ইন্টারভিউ দিতে হবে (১৫ -৩০ মিনিট )। ৭-১০ দিন পর ইউনিভার্সিটি আপনাকে জানাবে আপনি উত্তীর্ণ হয়ছেন কিনা।
উত্তীর্ণ হলে ইউনিভার্সিটি আপনাকে ইমেইলে অফার লেটার পাঠাবে এবং তাদের ১ম বর্ষ বা ১ম সেমিস্টারের টিউসন ফি অগ্রিম দিতে হবে। যদি আপনার ভিসা না হয় তাহলে আপনার টাকা রিফানডেবল হবে। টিউসন ফি প্রদানের পর উনিভারসিটি আপনার হোমে এড্রেসে এম্বাসি ফেইস করার জন্য ফাইনাল লেটার হার্ড কপি পাঠাবে।
মনে রাখবেন ক্লাস শুরু হওয়ার ৩ মাস আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। কারন চেকের ভিসা প্রসেস হতে ২ - ৩ মাস সময় লাগে। অন্যথায় আপনাকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ

Visa.czech@gmail.com এই ইমেইল এড্রেসে ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য এপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে
ভিসা ইন্টার্ভিউ এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
  • অরিজিনাল পাসপোর্ট
  • ২ কপি ছবি
  • পূরণ করা লঙ টার্ম ভিসা এপ্পলিকেসান ফর্ম। ফর্মটি এই http://www.mzv.cz/jnp/en/informatio... ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করুন।
  • এপ্লিকেন্টের নামে ৬২০০ ইউরো -->৬,৫০,০০০ টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে( ব্লক অ্যাকাউন্ট নয় )
  • ব্যাংক সার্টিফিকেট এবং সর্বশেষ ৩ মাসের স্টেইটমেন্ট ব্যাংক ম্যানেজার কতৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। (পিতা-মাতা বা ভাই-বোনের ব্যাংক সল্ভেন্সি গ্রহণযোগ্য নয়)।
  • এপ্লিকেন্টের নামে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড লাগবেই। ( ব্যাংক সার্টিফিকেট/স্টেটমেন্ট এবং ক্রেডিট কার্ড একি ব্যাংকের হতে হবে)
  • অফার লেটারের অরিজিনাল কপি
  • একুমোডেশন এর অরিজিনাল হার্ড কপি ( কমপক্ষে ০৬ মাসের জন্য নিবেন )
  • হেলথ ইনসিওরেন্স
  • অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ( অরিজিনাল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটি নোটারাইজ করে নিবেন)
ব্যাংক সার্টিফিকেট ও স্টেইটমেন্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক ল্যাঙ্গুয়েজে ট্রান্সলেট করতে হবে। এটা বাংলাদেশ থেকে না করানো ভাল ইন্ডিয়াতে করাবেন ২ ঘণ্টার ভিতরে পেয়ে যাবেন।
বিঃদ্রঃ যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বাহিরে এক বা একধিক রাষ্ট্রে ০৬ মাসের অধিক ছিলেন, তাঁরা অবশ্যই ঐ রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র গুলি থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে, যা এম্বাসিতে জমা দিতে হয়। এবং আপনার দেশের বাহিরে থাকার উদ্দেশ্য কি ছিল, তার প্রমান পত্র দেখাতে হবে। যদি আপনার দেশের বাহিরে থাকার উদ্দেশ্য যদি পড়াশুনা হয়, তাহলে সেখানের কোর্স কমপ্লিশন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি সাবমিট করতে হবে।
বিঃদ্রঃ - যদি উপরোক্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও কোর্স কমপ্লিসান সার্টিফিকেট এর একটিও যদি আপনার কাছে না থাকে। তাহলে চেক রিপাবলিকে আবেদন না করাই উত্তম। কারণ এগুলি ছাড়া ভিসার জন্য আবেদন করলে ওরা আপনার ভিসা প্রত্যাখ্যান করবে এটা প্রায় নিশ্চিত।
কিছু প্রাইভেট একুমোডেশন এর ওয়েবসাইটঃ

পার্ট - টাইম জব সুবিধাঃ

ইউরোপিয়ান নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পাবেন। তবে আপনি চাইলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার অধিক কাজ করতে পারবেন। এতে আপনার ভিসা বা অন্য কোনকিছুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
থাকা - খাওয়া বাবদ মাসে ৪০০ - ৫০০ ইউরো এর মত লাগতে পারে।

আপনাদের সবার একটি কমন প্রশ্ন আছে, চেক রিপাবলিকে কি খণ্ডকালীন চাকুরী করে টিউসান, লিভিং কস্ট মেনেইজ করা সম্ভব? এর উত্তরে আমি বলব সম্ভব!! তবে ব্যাচেলরস্টাডি প্রোগ্রামের জন্য কিছু টাকা দেশ থেকে আনতে হবে। প্রথমত আপনাকে কম টিউসান ফী সম্পন্ন চেক বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে হবে। যেটা প্রতি বছরে ২০০০-২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে হবে। দ্বিতীয়ত আমারা জানি যে, চেক রিপাবলিকে এডমিসানের জন্য প্রথম বছরের টাকা অগ্রিম পাঠাতে হয়। যদি আপনার টোটাল টিউসান ফী ৪৫০০ হয় আপনাকে পাঠাতে হবে ২২৫০ ইউরো। যার মানে হচ্ছে চেকে গিয়ে আপনাকে ২২৫০ ইউরো মেনেইজ করতে হবে। আপনার অবশিষ্ট টিউসান ফী ৪-৬ কিস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে পারবেন। (হিসাবটি মাস্টার স্টাডি প্রোগ্রামের জন্য) এবার আশা যাক মূল কথায়। আসলে চেক রিপাবলিকে খণ্ডকালীন চাকুরীর সুযোগ ও সহজলভ্যতা কেমন? প্রতি ঘণ্টায় কত টাকা আয় করা সম্ভব? এক কথায় বলতে পারি বর্তমানে খণ্ডকালীন চাকুরীর সুযোগ ও সহজলভ্যতার দিক থেকে চেক রিপাবলিক অনেক ভাল অবস্থানে আছে। প্রাঘ, ব্র্নো তে নতুন পুরাতন বাঙালী কেউই জব ছারা নেই। এমনকি প্রাঘ, ব্র্নো তে পড়াশুনা করতে আসছে কিন্তু ০৩ সপ্তাহের মধ্যে জব পায় নাই। এমন লোক একজনও নাই। এটা আমার কথা নয়, এখানের পুরাতন নতুন ভাইদের কথা এবং তাই বাস্তব। চেক রিপাবলিকে বাঙালি,ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, ভিয়েত্নামি, ইসরাইলি সহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা মিনি মার্কেটে কাজ পাবেন। প্রতি ঘণ্টায় ৬৫-৭৫ ক্রাউন করে মুজুরি পাবেন। নোটঃ প্রাঘ, ব্র্নো ব্যাতিত চেক রিপাবলিকের অন্যান্য সিটি গুলিতে খণ্ডকালীন চাকুরীর সুযোগ ও সহজলভ্যতা তেমন নেই।
কিছু জনপ্রিয় জব পোর্টালঃ

ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে  আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন । আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও  সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর  কাজ করে থাকি । 


যোগাযোগ করুনঃ 
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh

Find Us on Google




লেখকঃ মেহেদী হাসান sir

Labels: