Tuesday, 19 September 2017

সুইডেনে স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনা ও উচ্চশিক্ষা । ফুল গাইডলাইনস !! | সুইডেনে পড়াশোনা | সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসা | স্টাডি ইন সুইডেন

study in sweden from bangladesh



আপনি কেন সুইডেনে পড়াশুনা করবেন? 

-- ইউরোপের দেশ সুইডেন। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, বিশ্বস্বীকৃত গবেষণাকর্ম, বৃত্তি, গ্রুপ ওয়ার্ক, মুক্তচিন্তার পরিবেশ উচ্চশিক্ষায় সুইডেনকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সুইডেনে ওয়ার্ল্ড ক্লাস ডিগ্রী এবং ওয়ার্ল্ড এর বেস্ট নামকরা ইউনিভার্সিটি গুলো রয়েছে।পড়াশুনার মান নিয়ে সন্দেহ করার কোনো প্রশ্নই আসে না কারন বিভিন্ন শাখায় খ্যাতিমান নোবেল লরেটরা সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ান।আপনি এখানে পরিবেশ বান্ধব লাইফস্টাইল এবং গ্লোবাল ক্যারিয়ার এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এই দেশটিতে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি এনভায়রনমেন্ট বিদ্যমান। ওয়ার্ল্ড এর শান্তিপ্রিয় মানুষ এবং দেশগুলোর মধ্যে সুইডেন প্রথম ৩ এর ভিতরে। আর উপরের বিষয় গুলো যদি আপনের সাথে মিলে যায় তাহলে দেরী না করে আজই সিদ্ধান্ত নিন সুইডেনে  স্টাডি করতে যাওয়ার ব্যাপারে । এই আর্টিকেলে কিভাবে স্টাডি এর জন্য এপ্লিকেশন করবেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করা হয়েছে । 


দেশ পরিচিতিঃ
সুইডেন ইউরোপের একটি অন্যতম আধুনিক ও উন্নত দেশ। এর রাজধানীর নাম স্টকহোম। দেশটির উত্তর - পূর্ব দিকে আছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিম দিকে নরওয়ে, দক্ষিণ - পশ্চিম দিকে ওরেসুন্দ সেতু যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়, সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম দেশ। এর আয়তন ৪৫০,২৯৫ বর্গ কিঃমিঃ । জনসংখ্যা প্রায় ৯৮৭৫,৩৯৮ । সুইডেনের অফিসিয়াল ভাষা সুইডিশ। মুদ্রার নাম সুইডিশ ক্রুনা। স্বাক্ষরতার হার ৯৯% । শান্ত পরিবেশ, বিশ্বস্বীকৃত গবেষণাকর্ম, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রচুর স্কলারশিপ, গ্রুপ ওয়ার্ক, স্বাধীন চিন্তার সুযোগ এসবের জন্য উচ্চশিক্ষায় বেশ এগিয়ে সুইডেন। বর্তমানে এখানে প্রায় ৮০টি দেশের শিক্ষার্থীরা পিএইচডি গবেষণারত। গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১০-২০১১ এ দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সুইডেনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও নিতে পারেন বিশ্বমানের উচ্চতর ডিগ্রি। 

আসুন তাহলে এবার জেনে নেই স্টাডি এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো:


কিছু টপ রেঙ্কড ইউনিভার্সিটিঃ 

Uppsala University,

KTH Royal Institute of Technology,

Lund University,
University of Gothenburg,
Linkoping University,
Umea University
Chalmers University of Technology
Stockholm University



পড়ার বিষয়ঃ 
পরিবেশবিজ্ঞান, ভাষাশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও  ইঞ্জিনিয়ারিং এসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুইডেনকে আদর্শ বলা হয়। আরও কিছু বিষয় যেমন এমবিএ, টেলিকমিউনিকেশন, আইন, ম্যাথমেটিকস, জনস্বাস্থ্য, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন, মেডিক্যাল, অর্থনীতি, ভূগোল, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট, ফিল্ম ও মিডিয়া, লাইফ সায়েন্স প্রভৃতিও বিশ্বমানের।

ভাষা ও শিক্ষাব্যবস্থাঃ
অফিসিয়াল ভাষা সুইডিশ হলেও প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। এখানে সুইডিশ ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়াশোনা করা যায়। অনার্স পর্যায়ে সুইডিশ ভাষা জানলে ভালো। তবে মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হলো প্রায় ছয় শর বেশি বিষয় ইংরেজিতে পড়া যায়। সুইডেনে অনার্স তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স বিষয়ভেদে এক থেকে দুই আবার কোনোটাতে তিন বছরও লেগে যায়। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন মেয়াদি নন-ডিগ্রি প্রোগ্রাম, ডিপ্লোমা, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টোরাল ও কিছু প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম। ন্যাশনাল এজেন্সি ফর হাইয়ার ভোকেশনাল এডুকেশন প্রতিষ্ঠানের অধীন প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম করানো হয়। বর্তমানে শ্রমবাজারে এসব প্রশিক্ষণের চাহিদা রয়েছে।

আবহাওয়াঃ 
যে কোনো দেশে যাওয়ার আগে সে দেশের আবহাওয়া জেনে নেওয়া ভালো। তা না-হলে সেই আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলা কঠিন। উত্তর মেরুর দেশ সুইডেনের আবহাওয়া মৃদু প্রকৃতির। জুলাই মাসে তাপমাত্রা প্রায় ১৩-১৭ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। ফেব্রুয়ারিতে দিকে প্রচণ্ড শীত। তাপমাত্রা অনেক সময় মাইনাস পর্যায়ে অর্থাৎ -৩ থেকে -২২ ডিগ্রিতে নেমে যায়। দক্ষিণাঞ্চলে ডিসেম্বরে আর উত্তরাঞ্চলে অক্টোবরের দিকে বরফ পড়তে দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে এমনও দেখা যায়, দিনের ২৪ ঘণ্টার ১৯ ঘণ্টাই সূর্যের আলো থাকে।

সুইডেনের শীতে কিভাবে থাকবেন তা জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন ঃ 



ভর্তির যোগ্যতাঃ 
ভর্তির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভেদে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাডেমিক ফলাফল দেখে আবার কখনো বা ভাষাগত যোগ্যতা দেখে। সুতরাং ভাষা ও পরীক্ষাগুলোর ফল উভয়ই ভালো হওয়া দরকার। সুইডিশ ভাষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স করতে পারেন। ইংরেজি ভাষার দক্ষতাস্বরূপ টোফেল বা আইইএলটিএসের প্রাপ্ত নম্বর দেখা হয়। টোফেল পরীক্ষার মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৮৫ নম্বর এবং আইইএলটিএস পরীক্ষার ৯.০ পয়েন্টের মধ্যে ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে।


আইইএলটিএস প্রস্তুতির বই ডাউনলোড করুন 


আবেদনের সময়ঃ 
সুইডেনে বছরে দুটি সেমিস্টার। একটির মেয়াদ আগস্টের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। অন্যটি মধ্য জানুয়ারি থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত।
সাধারণত বিদেশে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা নিয়ে প্রসেসিং করতে প্রায় ছয় মাস এমনকি এক বছরও লেগে যায়। তাই নির্দিষ্ট সেমিস্টারে ভর্তির আগে সময়ের প্রতি খেয়াল রাখলে ভালো।

এপ্লিকেশন কখন থেকে শুরু ? 

১) স্প্রিং সেমিস্টার এর এপ্লিকেশন শুরু: মে মাসের শেষের দিকে।
২) অটাম সেমিস্টার এর এপ্লিকেশন শুরু: মধ্য অক্টোবর থেকে।

আসুন এবার দুই সেমিস্টার এর মধ্যে একটু পার্থক্য টা দেখে নেই:

স্প্রিং সেমিস্টার এ সাধারণত ৬ মাসের শর্ট কোর্স গুলো তে এপ্লিকেশন করা যায় এ কারণে আপনি ৬ মাসের ই ভিসা পাবেন। অটাম সেমিস্টার এ আপনি ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম এ এপ্লিকেশন করতে পারবেন। ব্যাচেলর প্রোগ্রাম সাধারণত ৩ বছরের হয় তবে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি তে ৪ বছরের ও হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রাম ১ এবং ২ বছরের হয়।ইউনিভার্সিটি স্টাডিস যত বছরের ই হোক না কেন আপনি ১৩ মাসের বেশি ভিসা পাবেন না। তবে আপনার ভিসা যত মাসের ই হোক না কেন তা মেয়াদ শেষ হবার আগেই এপ্লিকেশন করে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। মেয়াদ বাড়ানোর সময় মাথায় রাখতে হবে কি কারনে বাড়াবেন তা ৬ মাস আগে থেকেই মাথায় রাখা উচিত।


আসুন এবার কি কি ডকুমেন্টস দরকার তা জেনে নেই:

ইংলিশ শর্ট কোর্স (৬ মাস) গুলো তে সবচে কম ডকুমেন্টস লাগে। আইএলটিএস এ ৫.৫ আর এসএসসি এবং এইচএসসি থাকলেই যথেষ্ট।তবে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স লেভেল এর কোর্স এবং প্রোগ্রাম গুলোতে আইএলটিএস সর্বনিম্ন ৬.৫ দরকার। মাস্টার্স প্রোগ্রাম এ চান্স পেতে হলে ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকতে হবে ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে। যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে বা ইংলিশ লিটারেচার অথবা ইংলিশ সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করেছেন তাদের জন্য আইএলটিএস লাগে না বা আইএলটিএস শিথিলযোগ্য।এখানে একটা তথ্য জেনে রাখা দরকার তা হলো বাংলাদেশ এর কিছু কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সুইডেন এ ব্লাক লিস্টেড এবং কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি এর ডিগ্রী কমপ্লিট ডিগ্রী হিসেবে কাউন্ট হয় না সুতরাং এই ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক থাকা উচিত।

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের অনেক ফার্ম তাদের বিজ্ঞাপনে লেখেন যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করলে আর একটা মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন দিলে এ্যাডমিশন হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য।২০১৫ থেকে মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন কোনো ডকুমেন্টস হিসেবে কাউন্ট হয় না। তবে যারা ফাইন অফ আর্ট ইন ইংলিশ এ স্টাডি করেছেন তারা এ্যাডমিশন পাবেন

টিউশন ফিসঃ 
( ২০১১ সালের আগে সুইডেনে পড়াশোনা করতে কোন টিউশন ফি লাগত না। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে সুইডেনে টিউশন ফি চালু করেছে) 
বিসনেস, সমাজবিজ্ঞান রিলেটেড কোর্স এবং প্রোগ্রাম গুলো তে সাধারণত = ৪২৫০০ (+) সুইডিশ সেক।
ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার রিলেটেড কোর্স বা প্রোগ্রাম গুলো তে সাধারণত = ৬৫০০০ (+) সুইডিশ সেক।

পড়াশোনা ও থাকার খরচঃ 
শুরুতে অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রায় ৯০০ সেকের সমপরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হয়। তাছাড়া বিষয়ভেদে অনার্স, মাস্টার্সে বছরে ন্যূনতম ৮০ হাজার সেক থেকে এক লাখ ৪০ হাজার সেকের সমপরিমাণ টাকা খরচ হয়ে থাকে। এছাড়া থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ বছরে প্রায় সাত হাজার ৩৯৯ সেকের সমপরিমাণ টাকা লেগে যায়। সুইডিশ মুদ্রার নাম সেক (এসইকে)।

এবার আসুন জেনে নেই কত টাকা লাগবে এপ্লিকেশন করতে: 
১) শিক্ষাগত সব ডকুমেন্ট সুইডেন এ পাঠাতে ২০০০ + টাকা লাগতে পারে তবে এর পরিমান পরিবর্তন হয় ডকুমেন্টস এর ওজন ও কোম্পানি এর উপর ডিপেন্ড করে।
২) এপ্লিকেশন প্রসেসিং ফিস ৯০০ সুইডিশ সেক।
৩) ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি নিশ্চিত হলে টিউশন ফিস দিতে হবে ( ৪২৫০০ + অথবা ৬৫৫০০ +)।

ভিসা এপ্লিকেশন:
ইউনিভার্সিটি টিউশন ফিস রিসিভ করলে অথবা টিউশন ফিস এর সুইফট কপি ব্যাঙ্ক থেকে পাবা মাত্র আপনি ভিসা এপ্লিকেশন এর জন্য প্রস্তুত।
ভিসা এপ্লিকেশন এ যা যা লাগবে:
১) অফার লেটার ইউনিভার্সিটি থেকে সফট কপি
২) ব্যাঙ্ক সচ্ছলতা (কত টাকা দেখাতে হবে তা নিচের লেখা গুলো পড়ুন)
৩) ভিসা ফিস (১০০০ সেক)
৪) টিউশন ফিস এর পেমেন্ট কপি।
৫) আর স্টাডি পার্মিট এর পূরণকৃত এপ্লিকেশন ফর্ম ফ্যামিলি ডিটেলস সহ।
৬) পাসপোর্ট

নোট: সুইডেন এ ভিসা এপ্লিকেশন এর জন্য ইন্সুরেন্স লাগে যা ইউনিভার্সিটি থেকেই দেয়, সুতরাং আলাদা ভাবে ইন্সুরেন্স করার প্রোয়োজন হয় না।

ব্যাঙ্ক সল্ভেন্সিঃ 
যারা ৬ মাসের কোর্স এ আসবেন তাদের জন্য ব্যাঙ্ক এ ৮০১০ X ৬ = ৪৮০৬০ সুইডিশ সেক দেখানো লাগবে। 

নোট: যারা ১ বছর, ২ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় এর জন্য স্টাডি করতে আসবেন তাদের ব্যাঙ্ক এ ৮০১০ (প্রতি মাস) সেক কে বছর অনুযায় মাস দিয়ে গুন দিবেন। একটা উদাহরণ দিয়ে ক্লিয়ার করা যাক।
ধরেন আপনি ২ বছর এর জন্য স্টাডি করতে আসবেন আর ২ বছর এ ২৪ মাস আসে। তাহলে আপনার ব্যাঙ্ক এ ৮০১০ X ২০ = ১৬০২০০ সুইডিশ সেক দেখাতে হবে (যারা ১ বছর বা তার বেশি স্টাডি এর জন্য আসবেন তাদের জন্য বসর ১০ মাসে, এ কারনে ২ বসর কে ২৪ এর পরিবর্তে ২০ দিয়ে গুন করা হয়েছে)।

ভিসা এর ডিসিশন:
স্টাডি পার্মিট এর জন্য ম্যাক্সিমাম ৩ মাস লাগে যদি সুইডেন এর বাহির থেকে এপ্লিকেশন করেন তবে সাধারণত ৩ মাস লাগে না।

খণ্ডকালীন চাকরিঃ 
যদিও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান, শুরুতে খণ্ডকালীন চাকরির খোঁজ করেন। তবে পড়াশোনার ক্ষতি করে পার্টটাইম জব করা ঠিক নয়। তাছাড়া সুইডেন সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বছরে প্রায় ৫০০’র বেশি স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, এসব বৃত্তির আওতায় পড়াশোনাসহ থাকার খরচও বহন করা যায়। তাই সুইডেনে পার্টটাইম জবের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। অবশ্য ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা বা ২০ ঘণ্টার পার্টটাইম চাকরি করতে পারেন। বিভিন্ন চাকরির মধ্যে রয়েছে: কোম্পানির বিজ্ঞাপন, এ কাজে এক দিনে প্রায় ১২০ সেক থেকে ১৮০ সেক আয় করতে পারবেন। রেস্টুরেন্টে কাজ করে মাসে সাত হাজার সেক থেকে আট হাজার সেক আয় করা সম্ভব। সপ্তাহের কয়েক দিন, খোলা বাজারে কাপড় বিক্রি করলে মাসে সাত হাজার সেক থেকে ৯ হাজার সেক আয় হয়।

ওয়ার্ক পারমিট:
৩০ ক্রেডিট (১ সেমিস্টার বা ৬ মাস) কমপ্লিট করার পরে ফুল টাইম কাজ খুঁজে পান তাহলে ওয়ার্ক পারমিটে এপ্লিকেশন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কমপক্ষে প্রতি মাসে ১৩৫০০ সুইডিশ সেক আফটার ট্যাক্স দেখাতে হবে।

কাজের সময় সীমা:
সুইডেন এ পার্ট টাইম কাজ করার জন্য কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই। একটু ক্লিয়ার করি, ইংল্যান্ড সহ আরো অনেক দেশে স্টুডেন্ট দের জন্য ধরা বাধা নিয়ম আছে, সেটা হলো স্টুডেন্ট রা ২০ ঘন্টার বেশি কাজ করতে পারবে না ১ সপ্তাহে কিন্তু সুইডেন এ আপনি যতক্ষণ খুশি কিংবা যতক্ষণ পারেন ততক্ষণ কাজ করতে পারবেন। আর ফুল টাইম জব সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা।

 কিভাবে পার্মানেন্ট হবেন  ? 
ওয়ার্ক পারমিটে  এপ্লিকেশন করলে প্রথমে ২বছরের রেসিডেন্স পারমিট দেয় তারপর আরো ২ ইয়ার্স এবং ৪ ইয়ার্স পরে আপনি পার্মানেন্ট হবার জন্য এপ্লিকেশন করতে পারবেন।

নোট: সুইডিশ ভাষা জানা থাকলে অনেক সহজেই কাজ খুঁজে পাবেন কিন্তু জানা না থাকলে ঠিক ততটাই কঠিন।




ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিংঃ 
অনলাইনে বা ডাকযোগে জরুরি কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর স্কলারশিপ পাওয়ার পরেও দেশের ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা আছে, সেটা নিশ্চিত করতে হয়। পড়াশোনার বাইরে যে কোনো আপৎকালীন সময়ে টাকার প্রয়োজন হতে পারে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সুইডিশ অ্যাম্বাসিতে। অ্যাম্বাসি থেকে ভিসা ইস্যু করা হয়।



ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে  আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন । আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও  সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর  কাজ করে থাকি । 



যোগাযোগ করুনঃ 
Saifur Rahman
01989800800 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh


Find Us on Google 






আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলি পড়তে পারেন ঃ 


Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home