Wednesday 4 April 2018

চীনে স্টুডেন্ট ভিসা | চীনে উচ্চ শিক্ষার খরচ | স্টাডি ইন চীন | চীনে পড়াশোনা | চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং চীনে চাকরি | চীনে স্কলারশীপ | চীনে পড়ালেখা | চীনে এমবিবিএস



কেন আপনি চীনে পড়তে যাবেন?
চীন বর্তমান বিষের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বকে তারাই নেতৃত্ব দিবে। আফ্রিকা থেকে ভারত উপমহাদেশ, আমেরিকা থেকে ইউরোপ সব দেশেই চীনা পণ্যের দাপুটে অবস্থান। ইদানীং কালে চীন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ চীনের বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি স্থান দখল করে আছে। সারা বিশ্ব থেকেই এখন চীনে প্রচুর স্টুডেন্ট পড়তে আসছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল চীনা সরকার বিদেশী স্টুডেন্টদেরকে তাদের দেশে পড়তে স্কলারশিপ দিচ্ছে। এ স্কলারশিপের অধীনে কেউ সম্পূর্ণ টিউশন ফিস মওকুফ পাচ্ছে। আবার কেউ আবাসন পাচ্ছে। কেউ বা আবার দুটোই পাচ্ছে অর্থাৎ আবাসন ও টিউশন ফিস সম্পূর্ণ অথবা আংশিক মওকুফ পাচ্ছে। এদের মধ্যে  ভাগ্যবান অনেকে আবাসন, টিউশন ফিসের সঙ্গে মাসিক স্টাইপেন্ড পাচ্ছে ! এর অংকও নেহাত কম নয়। প্রতিমাসে ২৫০০ ইউয়ান থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত পেয়ে থাকে। প্রতি ইউয়ানের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৩ টাকার মত প্রায়। এই তো গেল স্কলারশিপের কথা। কিন্তু চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রীর গ্রহণযোগ্যতাও সারা বিশ্ব জুড়ে। অর্থাৎ আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। তাই সকল সম্ভাবনাময় স্টুডেন্টরা এই বিষয়টি  ভেবে দেখতে পারেন। 



চীনের শিক্ষা বাবস্থা

চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় চীনা এডুকেশন বোর্ড দ্বারা। দুই ধরনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। এর একটি হল ইংরেজি মাধ্যম আরেকটি চাইনিজ। বিদেশি ছাত্ররা তাদের পড়াশুনা ইংরেজি বা চাইনিজে চালাতে পারবে। চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা ১০০০ এর মধ্যে আছে যেগুলি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। চীনা সরকার জাপান, আমেরিকা,ফ্রান্স, ব্রিটেন সহ আরও ৬৫ দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল এগ্রিমেন্ট করেছে, ফলে  চীনা ইউনিভার্সিটিগুলির সার্টিফিকেটের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।



চীনের কিছু সেরা ইউনিভার্সিটির নাম

চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এর সেরা ১০০০ এর তালিকায় রয়েছে। তার মধ্যে সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এখানে আমি উল্লেখ করছি।

  • গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজ 
  • নানজিং নরমাল ইউনিভার্সিটি 
  • চীনা ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড ল 
  • সাউথেস্ট জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি 
  • সাউথ চীনা নরমাল ইউনিভার্সিটি 
  • বেইজিং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি
  • জিয়াংশু  ইউনিভার্সিটি
  • শেনজেন ইউনিভার্সিটি


কিছু সেরা সাবজেক্টস


যাদের সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড
  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কেমিস্ট্রি(অরগানিক, ইনঅরগানিক,পলিমার কেমিস্ট্রি এবং ফিজিক্স }
  • আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • টানেলিং অ্যান্ড আন্ডারগ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • জিওটেকনিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কন্সট্রাকশন টেকনোলোজি এন্ড প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
  • ম্যাথম্যাটিকস
  • ফিজিক্স
  • বায়োলজি
  • টেক্সটাইল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
  • এমবিবিএস
যাদের কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড


  • এমবিএ 
  • একাউন্টিং 
  • টেকনিক্যাল ইকোনমিক্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট 
  • এন্ট্রার প্রাইজ  ম্যানেজমেন্ট 
  • প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট 


যাদের আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ড 


  • সোশ্যাল সায়েন্স 
  • ইকনমিক্স 
  • সাইকোলজি 
  • লিটারেচার 
  • ক্রিয়েটিভ আর্টস ডিজাইন  


চীনে পড়াশুনা ও লিভিং খরচ

সাধারণত চীনে থাকা খাওয়া খরচ মিলে প্রায় ১০০০ হাজার থেকে ১৫০০০ এর মধ্যে হয়ে যায় । আর স্কলারশিপ পেলে তো আরও কমে যাবে।


চীনে পড়তে টিউশন ফিস কেমন লাগে ? 


বেশিরভাগ চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি।  তবে যারা মেডিকালের স্টুডেন্ট তাদের অবশ্যই 
টিউশন ফিস দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরো এমবিবিএস কমপ্লিট করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত লাগবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে কম বেশি হতে পারে।


চীনে পড়তে কি যোগ্যতা লাগে

  • ব্যাচেলরে ভর্তি হতে গেলে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান সনদ লাগবে। 
  • মাস্টার্স করতে গেলে কমপক্ষে ব্যাচেলর কমপ্লিট করা থাকতে হবে। 


চীনে স্কলারশিপের যোগ্যতা

  • ব্যাচেলরের জন্য 
  • এস এস সি ও এইচ এস সি তে কমপক্ষে জিপিএ .৪.০০ করে মোট ৮.০০ পেতে হবে কোনটাতে ৪.০০ এর নিচে হলে স্ক্লারশিপ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। 
  • আর মাস্টার্সের জন্য জিপিএ ৪ এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.০০ পেতে হবে।  

স্কলারশিপে কি কি সুবিধা পাবেন ? 


  • টিউশন ফি ফ্রি। 
  • বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক  আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। 
  • মাসিক স্টাইপেন্ড ৫০০/১৭০০/৩০০০ আরএমবি ( বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা হবে)।   


ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন। আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকি ।


আমাদের সাহায্য কেন নিবেন?

  • আমরা স্টুডেন্টের রেজাল্ট ও ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী ফাইল কালেক্ট করি। তারপর তাদের যোগ্যতা অনুসারে সেরা ইউনিভার্সিটি ও সাবজেক্ট বাছাই করে স্কলারশিপ এর জন্য সেরা চেষ্টা টুকু করি। 
  • আপনার স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য চায়নাতে আমাদের নিজস্ব টিম আছে।   
  • আমরা গনহারে ফাইল নেই না।আমাদের কাছে কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটি  বেশি গুরুত্বপূর্ণ।তাই,  আমরা অল্প করে ফাইল নেই ভাল্ভাবে কাজ করি ।   
  • কোন ধরনের প্রতারণা করার কোন অতীত বদনাম নেই আর ভবিষ্যতে এমন ইচ্ছাও আমাদের নেই। আমরা গ্রাহকদের সঙ্গে দীর্ঘদিনে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। 

Call Us To Know More 
===========================
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh

Google ম্যাপের মাধ্যমে আমাদের অফিসে আসুনঃ




কিওয়ার্ডসঃ

চীনে স্টুডেন্ট ভিসা | চীনে উচ্চ শিক্ষার খরচ | স্টাডি ইন চীন | চীনে পড়াশোনা |
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং | চীনে চাকরি | চীনে স্কলারশীপ | চীনে পড়ালেখা | চীনে এমবিবিএস
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ,চায়না স্কলারশিপ ২০১৮,চীনে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ,চীনে এমবিবিএস,চীনে মেডিকেলে পড়ার খরচ,চীনে পড়াশোনা,চীনে পড়াশোনার খরচ,চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং,চীনে পড়ালেখা,চীনে উচ্চ শিক্ষার খরচ,চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ,চীনে মেডিকেলে পড়ার খরচ,চীনে উচ্চ শিক্ষার খরচ ২০১৯

Labels:

Wednesday 7 March 2018

এস এস সি পরীক্ষার পর যা যা করা উচিত !! অস্থির সব টিপস পড়ুন

এস এস সি পরীক্ষার পর যা যা করা উচিত


ভাইরে/আপুরে! SSC পরীক্ষা শেষ হইছে। সামনে ছুটি। এই অফুরান সময় ৪০ বছর পরে রিটায়ারমেন্ট এর আগে পাইবার সম্ভাবনা নাই। এই সময়টা তাইলে কি করা যায়?
নীচের যে কোন একটা বা দুইটা করতে পারেন, সবগুলা একসাথে করতে গেলে কিচ্ছু হবে না!

  • ১. বাংলাদেশ এর সবগুলা জেলা একদিন বা আধাদিন কইরা ভিজিট করেন আর ছবি তুইলা কোলাজ কইরা রাখেন। বাংলাদেশ এর ১% লোক ও এইটা করছে কিনা জানিনা! Be in that top 1%!
  • ২. সুযোগ আর পয়সা থাকলে আশেপাশের দু একটা দেশ ঘুরে আসতে পারেন। নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকায় ভিসা লাগে না!
  • ৩. HSC এর পরে কি করবেন, কোথায় ভর্তি হইবেন তা এখনই ঠিক কইরা রাখেন। এখনই, আজই! এবং এই ছুটির কয় মাস মানসিক প্রিপারেশন নিতে থাকেন। পরে টাইম পাইবেন না পাইবেন না পাইবেন না।
  • ৪. ১৫০০ ইংলিশ শব্দ/ Vocabulary শেখেন। পুরা মাথার মধ্যে জানি থাকে। সারাজীবন কি যে কাজে দিবে তা এখন এই বাচ্চা বয়সে বুঝবেন না।
  • ৫. MS Excel! এ ব্যাপারে আর কিচ্ছু বলার নাই। হেলাফেলা করবেন, তো মরবেন! MS Excel শেখার মোক্ষম সময় এইটাই ভাই!
  • ৬. ২০ টা English Non Fiction বই শেষ করেন। এইটা minimum!
  • ৭. ১০০ জনের নতুন নেটওয়ার্ক বানান। লোকে কি বলে পাত্তা দিয়েন না। পুলিশ অফিসার, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, মিলিটারি, Mid to High Level corporate বস, পাইলট, কূটনীতিক, কৃষক, রিক্সচালক - সবাই সবাই।
  • ৮. নিজের ধর্মগ্রন্থ নিজ ভাষায় পড়েন, বোঝেন আর মানেন। অন্যধর্ম কে সম্মান করতে শিখেন।
  • ৯. অন্তত গত ৩০ বছরের ৩০ টা অস্কার জয়ী সিনেমা দেখেন। খুব কম মানুষই এটা করছে।
  • ১০. সঞ্চয়, সঞ্চয়, সঞ্চয়! সঞ্চয় আর Investment এর মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ কেনো স্কুল লেভেলে পড়ায় না, বুঝি না। মাসে ৫০০ টাকা সঞ্চয় করার প্রতিজ্ঞা করেন। খুবই সম্ভব। এখনই শুরু করেন।
  • ১১. নিজের একবার Full Body medical checkup করান।
  • ১২. এখন না জানলে অন্তত একটা লাইফস্কিল শেখেন - সাঁতার, ড্রাইভিং ইত্যাদি।
নোট! বয়স হইয়া গেলে এই সময়ের জন্য কাঁদবেন, মাগার ফেরত পাইবেন না, ভাইরে! Value of Time রচনা পড়ছেন, মুখস্থ করছেন কিন্তু বুঝেন নাই! এখনই সময়!
Happy Productive Holidays!

এই আর্টিকেলটি লিখেছেন শ্রদ্ধেয় Shabbir Ahsan ভাইয়া । 

Labels:

Saturday 24 February 2018

সন্তান লালন পালনের টিপস । সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য !!



ভাইরে/ আপুরে! Parenting ব্যাপারটা আজকাল অনেকই কঠিন মনে হয়। আমি বুঝি না আমার মতো বেল্লিক পোলারে ক্যামনে আমার বাবা মা হাসিমুখে মানুষ করছেন। এত্ত ত্যাগ তিতিক্ষা তারপরেও কোন অভিযোগ ছাড়াই। আমি নিশ্চিত সবার বাবা মাই এমন।
এখন নিজে বাবা হইছি আর ২০ বছর ধইরা একমাত্র কণ্যারে মানুষ করার চেস্টায় রত আছি। অনেক শিখছি, ঠেকছি, দেখছি। জন্ম দিলেই বাবা মা হওয়া যায় না তা হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝতেছি। আজ কিছু Lesson Learnt শেয়ার করি!
১. বাবা মা হইছেন মানেই সন্তান কিনা নেন নাই। ওদের নিজস্ব সত্ত্বা বইলা কিছু আছে। Respect that.

২. জোর কইরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু বানাইতে চাইয়েন না। পোলা শচীন টেন্ডুলকার হইতে চায় লেকিন জোর কইরা তারে মেসী বানাইতে চান!!!? পারলে বিভিন্ন শত শত ক্যারিয়ার ফিল্ড নিয়া আলোচনা করেন, বিভিন্ন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ল'ইয়ার, ব্যাংকার, প্রফেসর দের কাছে নিয়া যান। কথা বলায় দ্যান। বিভিন্ন প্রফেশন এর ভাল মন্দ শিখান। তারপর তাকে নিজের ডিসিশন নিতে দেন।

৩. সভ্যতা ভদ্রতা শিখান। পাড়ার মাইয়ারে টিজ করছে? একদিন বুঝান, দ্বিতীয় দিন ওই মাইয়ার কাছে পা ধরান, তৃতীয় দিন সোজা মর্গে। বড়দের সম্মান করতে শেখান। ধর্ম কর্ম হুজুরদের কাছে ছাড়ছেন তো মরছেন।

৪. টাকা পয়সা বেশী হাতে না দিয়া সাধারণ ভাবে জীবন পরিচালনা করতে শিখান। অর্থ উপার্জন কি কঠিন তা জানুক। অবশ্য অবশ্যই সঞ্চয় করতে শিখান। অবশ্যই!!!

৫. মানুষ করতে চাইলে Sense of Entitlement রে একদম বুটের তলায় চাপা দেন। Arrogance এর জন্ম এইখান থেকে।

৬. কোন দিন Failure রে ধইরা অপমান করবেন না। আপনার পোলা মাইয়া নবী রসুল বা ফেরেশতা না। ঠেকতে ঠেকতে শিখতে দেন। Encourage them to learn to take risk, fail and learn some more.

৭. সময় দেন। দরকার হইলে একসাথে লুডু খেলেন, বই পড়েন, রান্না করেন, ঘুরতে যান। সারা মাসে সময় দেন না আর একবার শেরাটনে ডিনার এ যাইয়া কইবেন We are sepnding "quality time"!?!? হা হা হা হাসালে বন্ধু!!!

৮. লাইফস্কিল শেখান - সাঁতার, ড্রাইভিং, ব্যাংকিং, বাজার করা।

৯. বই ছাড়া অন্য কোন কিছু Gift করা বন্ধ করেন। পড়ার অভ্যাস মিলিয়ন ডলার gift - মনে রাখবেন।

১০. স্বপ্ন দেখান। মানুষ হবার, successful হবার।

১১. ধৈর্য্য ধরেন। Parenting হইলো Google CEO বা US President এর চেয়েও কঠিন কাজ!!! আপনের বাপ মা কি কষ্ট করছে এখন বুঝেন আর তাদের জন্য দোয়া করেন।

Happy Parenting!

এই আর্টিকেলটি লিখেছেন শ্রদ্ধেয় Shabbir Ahsan ভাইয়া । 

কিওয়ার্ডসঃ 
সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য,সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য,
 সন্তানের হক,মাতা পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য,সন্তানের জন্য দোয়া,
কন্যা  লালন পালন ,ছেলে মেয়ে  লালন পালন

Labels:

ট্রাফিক জ্যাম বা যানজট সমস্যাকে কাজে লাগানোর অসাধারণ কিছু টিপস পড়ুন


No automatic alt text available.
যানজট সমস্যা,যানজট সমস্যা প্রতিবেদন,ঢাকার যানজট,যানজট প্রতিবেদন,
যানজট নিরসনের উপায়,যানজট রচনা,যানজট সমস্যা রচনা,যানজট ও তার প্রতিকার রচনা,
ঢাকার যানজট সমস্যা,ক্যারিয়ার পরামর্শ,ক্যারিয়ার ভাবনা,ক্যারিয়ার গঠন,ক্যারিয়ার শিক্ষা,
---------------------------------------------------------------------------

ভাইরে/ আপুরে, ট্রাফিক জ্যাম, ট্রাফিক জ্যাম!!!
 এর প্রেমে পইড়া গেছি! গত কয়েক সপ্তাহে আমি এক্সপেরিমেন্ট চালাইয়া দেখলাম জ্যামে বইসা থাকার মতো দিনে Productive সময় খুব কমই আছে! জনসংখ্যা যেমন একটা asset ঠিক তেমনি ট্রাফিক জ্যাম কে কাজে লাগাইতে পারলে অইটাও জীবনের বিরাট একটা asset হইতে পারে, সেইটাই বুঝলাম!
দিনে গড়ে ২ ঘন্টা জ্যামে বইসা থাকি! ওই সময় বসের "ওই শাব্বির, এই ফাইল কই?" নাই, আর "উনার" "ওগো, কাঁচামরিচ শেষ, বাজারে যাও"! ও নাই! আছে অফুরান সময়! তা এই সময় কি করি:

Podcast: 
যারা এই সোনারখনির খোঁজ পান নাই তাদের জীবন ১৪ আনাই বৃথা! Podcast হইলো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর mainly audio file যা বিভিন্ন চ্যানেলে প্রতিনিয়ত আপলোড করা থাকে। চ্যানেলগুলাতে subscribe করলে আপনার ফোনে automatic ফাইল গুলা আপলোড এর সাথে সাথে সেভ হইয়া যাবে। Subscribe না কইরাও আপনি চ্যানেলগুলার লিস্টে যাইয়া click কইরা আলাদা আলাদা ভাবে একটা একটা কইরা audio শুনতে পারেন। কি নাই এই Podcast এ? পড়াশুনা, সিনেমা, অংক, ইন্সপায়রেশন, বই রিভিউ, Economics, Harvard, Ivy League, CNN থেকে শুরু কইরা Serial killer, recipe, Internet, jokes সব - সব কিছুই পাবেন। Wikipedia, Youtube এগুলা মনোযোগ দিয়া পড়তে হয়, দেখতে হয়। কিন্তু Podcast গান শোনার মতো কানে হেডফোন লাগাইয়া শুনতে থাকেন। কঠিন মনোযোগ এর দরকার নাই। সাথে সাথে অন্যান্য কাজ ও করতে পারেন। এক মাস এই Podcast এর উপর লাইগা থাকেন আর আমারে ২০ মার্চ জানাইয়েন কি অবস্থা! প্লে স্টোর থিকা নীচের ছবির মতো Podcast Player নামাইয়া নেন আর ওইটা নিয়া নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অনেক Podcast Player আছে। এইটা আমার প্রিয়!

ফোনকল
জ্যাম এ আটকাইয়া আছেন? আগের অফিসের বস, কলিগ, হারায় যাওয়া বন্ধুদের সাথে ১ মিনিটের কল কইরা সম্পর্ক টা ঝালাইয়া নেন। বার্থডে উইশ করেন। কোন কিছু লাগবে কিনা জিগান। বগ গফ রে এই সময় "জানু জানু" না বইলা কিছুটা কাজের কাজ করেন!😍😍



বই :
বই পড়ার সময় পাননা, কিন্তু ২ ঘন্টা জ্যামে আটকাইয়া সরকারের ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করেন?!! ভাইরে, বই পড়ার জন্য ট্রাফিক জ্যাম এর মতো মোক্ষম সময় আর নাই। এক সপ্তাহের জ্যাম এ একটা বই শেষ করা অসম্ভব কিচ্ছু না!

Vocabulary
 প্রতিদিন বাসা থিকা বাইর হইবার সময় ১০ টা শব্দ ঠিক কইরা আনেন। অফিসে বা ক্লাশে পৌছানোর আগেই ১০ টা শব্দ মাথায় গাঁইথা গেছে কিন্তু!

প্ল্যানিং: 
 আমি আমার পোস্টগুলার প্ল্যানিং জ্যামে বইসাই করি। আপনি কোনো এপস ডিজাইন করবেন, কোনো গান লিখবেন, কোনো বিজনেস প্ল্যান করবেন, কোনো বই এর আইডিয়া - যা কিছু, সব নোটপ্যাড এ লিখা রাখতে পারেন জ্যামে বইসা!

ভাই, জ্যাম এখন আমাদের জীবনের সাথে মিশা গ্যাছে। ক্যামনে জ্যাম দূর করা যায় এই সমস্ত আইনস্টাইনিও চিন্তা বড় বড় মানুষদের করতে দ্যান। এর এই ফাঁকে জ্যাম এ বইসা থাকার ফায়দা উঠান! কথায় আছে if life gives you lemon, make a glass of lemonade! জীবন যেই Threat ই ছুঁইড়া মারুক ওইটারে opportunity বানাইয়া ফেলেন!

তাইলে আজ থিকা ভাই Happy Traffic Jamming!

এই আর্টিকেলটি লিখেছেন শ্রদ্ধেয় Shabbir Ahsan ভাইয়া । 


Labels:

Saturday 10 February 2018

ওমরাহ /উমরাহ/ ওমরা ও হজ্জ কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কী ? দোয়া ও পালন করার নিয়মাবলী




 ওমরাহ /উমরাহ/ ওমরা ও হজ্জ কি? এদের মধ্যে পার্থক্য কী ? দোয়া ও পালন করার নিয়মাবলী . . হজ্জ করার নিয়ম,হজ্জ কাদের উপর ফরজ,হজ্জ কখন ফরজ হয়,হজ্জ এর দোয়া,হজ্জ ২০১৮,হজ্জ পালনের নিয়ম,হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত,হজ্জ এর নিয়ম ,ওমরার দোয়া। উমরার দোয়া।ওমরাহর দোয়া।ওমরা হজের দোয়া। মাত্র ৭৫ হাজার টাকায়,ওমরাহ হজ্জ করার নিয়ম ।  উমরাহ করার নিয়ম ।  ওমরাহ হজের নিয়মাবলী । ওমরাহ পালনের নিয়ম,তাওয়াফ কি,তাওয়াফ করার নিয়ম,কাবা তাওয়াফ,ইহরাম কি ,ইহরাম অর্থ কি ,ইহরাম বাধার নিয়ম,ইহরাম শব্দের অর্থ ,ইহরাম কাকে বলে ,ইহরাম বাধা .তালবিয়া ,তালবিয়া পাঠ ,হজ্জের তালবিয়া ,মহিলাদের ইহরাম ,যাদের উপর হজ্ব ফরজ,হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত,হজ্জ কখন ফরজ হয়,হজ্জের ওয়াজিব,হজ্জের ইতিহাস,হজ্জ করার নিয়ম,হজ্জের ফরজ কয়টি,হজ্জ এর দোয়া,

ওমরাহ কি?

ওমরাহ আরবি শব্দ। ওমরাহর আভিধানিক অর্থ হলো ধর্ম, কর্ম, ইবাদত, সুখকর, সেবা, স্থিতিশীল, জীবন, মহাপ্রাচীন, স্থাপত্য-স্থাপনা, প্রাপ্তি, অভ্যর্থনা, জিয়ারত বা সফর ও ইচ্ছা। শরীয়তের ভাষায়- শরীয়ত নির্দেশিত বিশেষ পদ্ধতিতে ইহরামসহ, ক্বা’বা শরীরে চর্তুদিকে তাওয়াফ করা, ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ পাহাড়দ্বয়ের মধ্যস্থলে সাঈ করা এবং মাথা মুন্ডানোকে ওমরাহ বলে৷ এটিকে ‘ওমরা’ও বলা হয়৷ এ সম্পর্কে কোরআন করিমে রয়েছে: ‘নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম; তাই যারা হজ করবে বা ওমরাহ করবে, তারা এতদুভয়ের প্রদক্ষিণ (সায়ী) করবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৮)। ওমরাহ পালন করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল। এটি পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য প্রযোজ্য। ওমরাহ করলে হজ ফরজ হয়ে যায়, এ রকম কোনো বিধান নেই। মক্কা-মদিনার প্রতি আকর্ষণ ও হৃদয়ের টান ইমানের পরিচায়ক। তাই অনেকে প্রেমের টানে বারবার হজ ও ওমরাহ করে থাকেন। রমজানে ওমরাহ পালন করা হজের সমান সওয়াব; শাওয়াল মাসও ওমরাহ করার জন্য উত্তম সময়।

ওমরাহ করার সময়ঃ

ওমরাহ সম্পাদনের বিশেষ কোনো সময় সুনির্দিষ্ট নেই; তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরাহ পালন করা বিধেয় নয়; এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরাহ প্রতিপালন করা যায়। হজের সফরেও ওমরাহ করা যায়। একই সফরে একাধিক ওমরাহ করতেও বাধা নেই। হজের আগেও (হজ না করেও) ওমরাহ করা যায় এবং হজের পরও বারবার ওমরাহ করা যায়।

ওমরাহর নির্দিষ্ট কাজকর্মঃ


ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, হলক, কছর ইত্যাদিই হচ্ছে ওমরাহর প্রধান কাজ। ওমরাহর নির্ধারিত স্থান হলো কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া ইত্যাদি। আফাকি তথা দূরবর্তী ওমরাহ সম্পাদনকারীর জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা সুন্নত।



ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে?


****আলহামদুলিল্লাহ্‌,  আমাদের ওমরাহ প্যাকেজ প্রতি একজনের জন্য মাত্র ৭৫০০০/- (পচাত্তর হাজার টাকা, পরিবর্তনশীল  ) থেকে শুরু ।   যা বাংলাদেশের সকল হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে সেরা রেট । তবে এই রেট পরিবর্তনশীল । আপনি চাইলে প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন । বিস্তারিত 


আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাঃ 
Cell: 01728682856
Khosnur Alam
M. A. M INTERNATIONAL TRAVELS & TOURS
Hemaetpur,Savar,Dhaka
E-mail : khosru22@gmail.com



ওমরাহ ও হজ্জের মধ্যে পার্থক্যঃ

হজ্ব ও ওমরাহর মধ্যে অনেক ধরনের পার্থক্য বিদ্যমান। হজ ফরজ থাকা অবস্থায় তা আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হজ সম্পন্ন না করে বারবার ওমরাহ করা অযৌক্তিক। কারণ, শত-সহস্র ওমরাহও হজের সমকক্ষ হবে না। অনুরূপভাবে ওমরাহ আদায় করলে হজ ফরজ হয়ে যায়, এমনটিও সঠিক নয়। হজ যেমন জীবনে একবার করা ফরজ, তেমনি ওমরাহ জীবনে অন্তত একবার করা সুন্নত। হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। হজ্ব সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি হজ্বের জন্য আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিদান করে এবং তার স্ত্রীকে যৌনমিলন করে না এবং মন্দ ও পাপ করে না, তখন তিনি আবার ফিরে আসবেন, যেন তিনি নতুন করে জন্মগ্রহণ করেন। "(হাদীস # 596, সহীহ বুখারী, আবু হুরায়রা দ্বারা বর্ণিত) আর ওমরাহ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহ- এ দু’য়ের মাঝে কৃত পাপের কাফ্‌ফারা স্বরূপ।" (বুখারী শরীফ) প্রধান পার্থক্য সমুহঃ
১) উভয়ই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা কিন্তু পার্থক্য রয়েছে গুরুত্ব এবং পদ্ধতির মধ্যে। ২) প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাদের জীবনকালে এটি পালন করা বাধ্যতামূলক যদি তারা শারীরিকভাবে উপযুক্ত এবং আর্থিকভাবে এটি করতে সক্ষম হয়। ৩) হজ্জ এক নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয় কিন্তু ওমরাহ বৎসরে যে কোন সময়ই করা যায়। ৪) ওমরার মধ্যে আরাফাত ও মুযদালিফায় অবস্থান, দু’নামায এক সাথে আদায় করা ও খুতবার বিধান নেই। তাওয়াফে কুদূম এবং তাওয়াফে বিদা’ও নেই কিন্তু ওই সব কাজ হজ্জের মধ্যে রয়েছে। ৫) ওমরার মধ্যে তাওয়াফ আরম্ভ করার সময় তালবিয়াহ পড়া মওকুফ করা হয়। আর হজ্জের মধ্যে জামরাতুল আক্বাবাহ’তে রামী (কংকর নিক্ষেপ) করার সময় মওকূফ করা হয়। ৬) ওমরাহ নষ্ট হলে বা জানাবত (ওই নাপাকী যা দ্বারা গোসল ফরয হয়।) অবস্থায় তাওয়াফ করলে (দম হিসেবে) একটা ছাগল বা মেষ জবেহ করা যথেষ্ট, কিন্তু হজ্জে যথেষ্ট নয় বরং পরবর্তী বছর পুনরায় সম্পন্ন করতে হয়।


দোয়া ও পালন করার নিয়মাবলীঃ

[ সকল মাসয়ালা,আয়াত ও হাদিস ইত্যাদি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা । দয়া করে অভিজ্ঞ আলেমের দ্বারা যাচাই করে নিবেন ]
ওমরাহ নিজের জন্য যেমন করা যায়, তেমনি অন্যদের জন্যও করা যায়। জীবিত বা মৃত, ছোট বা বড়, আত্মীয় বা অনাত্মীয় যেকোনো ব্যক্তির জন্যও ওমরাহ আদায় করা যায়। যার জন্য ওমরাহ পালন করা হবে, তাকে আগে বা পরে জানানো বা অনুমতি নেওয়া শর্ত নয়; তবে তা জানানো উত্তম। ওমরাহ যেহেতু ফরজ বা ওয়াজিব নয়, তাই এর বদলি আদায় করা জরুরি নয়। তবে কাউকে যদি কোনো সামর্থ্যবান ব্যক্তি অসিয়ত করে যান, তা আদায় করা ওয়াজিব হবে। এ ছাড়া কেউ কারও দ্বারা ওমরাহ করালে উভয়ে সমান সওয়াব পাবেন; কেউ কারও জন্য ওমরাহ সম্পাদন করলেও উভয়েই পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবেন। (ফাতাওয়া শামি)। ওমরাহর জন্যও হজের মতোই মিকাত থেকে ইহরাম করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে আমাদের মিকাত হলো ইয়ালামলাম পাহাড়, যা জেদ্দার পূর্বে অবস্থিত। মদিনা থেকে মিকাত হলো জুলহুলায়ফা নামক স্থান। মক্কা থেকে ওমরাহ করতে চাইলে তার মিকাত হলো তানয়িম বা আয়িশা মসজিদ অথবা জিরানা নামক জায়গা। (মক্কা থেকে হজের ইহরামের জন্য মিকাত প্রযোজ্য নয়)। ওমরাহকে ‘ওমরাহ হজ’ বা ছোট হজও বলা হয়। ওমরাহর রুকন ৩টি : ইহরাম বাঁধা, ত্বাওয়াফ করা ও সাঈ করা। ওমরাহর ওয়াজিব ৩টি : তাওয়াফের দুই রাকা’আত নামায, মীক্বাত হ’তে ইহরাম বাঁধা এবং মাথা মুন্ডন করা অথবা মাথার সমস্ত চুল ছোট করা। মীক্বাত: ইহরাম বাঁধার স্থানকে ‘মীক্বাত’ বলা হয়। মীক্বাত পাঁচটি: (১) মদীনা বাসীদের জন্য ‘যুল হুলাইফা’ যা মদীনা থেকে প্রায় ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে এবং মক্কা থেকে উত্তর-পশ্চিমে ৪৫০ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত। (২) শাম বা সিরিয়া বাসীদের জন্য ‘জুহ্ফা’ যা মক্কা থেকে উত্তর-পশ্চিমে ১৮৩ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত। বর্তমানে এর নিকটবর্তী ‘রাবেগ’ নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধা হয়। (৩) ইরাক বাসীদের জন্য ‘যাতু ‘ইর্ক্ব’ যা মক্কা থেকে সোজা উত্তরে ৯৪ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত (৪) নাজ্দ বাসীদের জন্য ‘ক্বারনুল মানাযিল’ যা মক্কা থেকে উত্তর-পূর্বে ৭৫ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত। যাকে এখন ‘আস-সায়লুল কাবীর’ বলা হয়। (৫) পাক-ভারত উপমহাদেশ ও ইয়ামন বাসীদের জন্য ইয়ালামলাম পাহাড়। যা মক্কা থেকে সোজা দক্ষিণে ৯২ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত। যার নিকটবর্তী ‘আস-সা‘দিয়াহ’ থেকে এখন ইহরাম বাঁধা হচ্ছে। জেদ্দা হ’তে উত্তরে মক্কা অভিমুখী আল-লাইছ সড়কে অবস্থিত এই স্থানে বর্তমানে ‘মীক্বাত মসজিদ’ স্থাপিত হয়েছে। ইহরামঃ ইহরাম এর আভিধানিক অর্থ হারাম বা নিষিদ্ধ করা৷ হজ্জ ও ওমরা করার জন্য শর্ত সাপেক্ষে যে কাপড় পরিধান করা হয় তাকে ইহরাম বলে। ইহরামের কাপড়: পুরুষের জন্য: পুরুষরা ইহরামের জন্য প্রস্তুত কৃত সাদা দুটি চাদর নিচের অংশের জন্য আড়াই হাত প্রস্থ ও পাঁচ হাত চওড়া এবং উপরের অংশ ছয় হাত। মীকাত থেকে ওমরাহ নিয়তে ইহরাম বাঁধা সুন্নত৷ মীকাত আসার পূর্বে ইহরাম বাঁধা সুন্নতের খেলাফ৷ ইহরাম বাঁধার সুন্নত তরীকাঃ
যে ব্যক্তি ইহরাম বাঁধার সংকল্প করবে সে প্রথমে ক্ষৌরকার্য করবে, তারপর মীকাতের পূর্বেই বাড়ীতে/হাজী ক্যাম্পে/বিমানবন্দরে কিংবা বিমানে মিকাত অতিক্রম করার পূর্বে ইহরামের নিয়তে ওযু-গোসল করবে৷ যদি কোন কারণে গোসল করতে না পারে, তাহলে ওযু করে নিবে৷ অতঃপর সেলাই করা কাপড় খুলে একটি সেলাইবিহীন লুঙ্গি, আর একটি চাদর এমনভাবে পরিধান করবে, যেন দুই কাধ এবং পিঠ ঢেকে যায়৷ অতঃপর সুগন্ধি লাগাবে৷ দেহে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু পোষাকে নয়। এর পর টুপি পরে বা গায়ের চাদর দ্বারা মাথা ঢেকে ইহরামের নিয়তে দু‘রাকাআত নফল নামাজ(প্রথম রাকাআতে সুরা কাফেরুন, দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা এখ্‌লাছ) আদায় করে সালাম ফিরিয়ে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে বসে মস্তক অনাবৃত করে সেখানেই নিয়ত করবে৷ মাকরূহ ওয়াক্ত হলে নামাজের জন্য অপেক্ষা করবে৷ অপেক্ষা করা সম্ভব না হলে নামাজ ছাড়াই ইহরাম বেঁধে ফেলবে৷ মহিলাদের ইহরাম বাঁধার নিয়মঃ
* মহিলাদের ইহরাম পুরুষদের ইহরামেরই অনুরুপ৷ শুধু পার্থক্য এইযে, মহিলাদের জন্য মাথা ঢেকে রাখা ওয়াজিব এবং কাপড় দ্বারা মুখ আবৃত করা নিষিদ্ধ, আর সেলাই যুক্ত কাপড় পরিধান করা জায়েয৷ * মহিলাদের জন্য বেগানা পুরুষের সম্মুখে বে-পর্দা হওয়া নিষিদ্ধ৷ সুতরাং চেহারার সাথে লাগতে না পারে এমন কোন কিছু (ক্যাপ) কপালের উপর বেঁধে তার উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিতে হবে৷ * মহিলাদের জন্য ইহরাম অবস্থায় অলংকার, পা-মোজা, হাত-মোজা, ইত্যাদি পরিধান করা জায়েয৷ তবে অলংকার পরিধান না করাই উত্তম৷ * মহিলাদের জন্য মাথা মন্ডন করা নিষিদ্ধ৷ সুতরাং ইহরাম খোলার পর সমস্ত চুলের ঝুটি ধরে এর অগ্রভাগ হতে আঙ্গুলের এক কর পরিমান চুল নিজের হাতে কেটে ফেলতে হবে৷ কোন বেগানা পুরুষকে দিয়ে কাটানো নিষিদ্ধ৷ * মহিলাদের জন্য হায়েযের অবস্থায়ও হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা জায়েয৷ শুধু তাওয়াফ নিষিদ্ধ৷ যদি ইহরামের পূর্বে হায়েয দেখা দেয়, তাহলে গোসল করে ইহরাম বেঁধে (নামাজবিহীন) হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করবে, কিন্তু সাঈ এবং তাওয়াফ করবে না৷ * যদি কোন মহিলার হায়েয জনিত কারণে যথা সময়ে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করতে সক্ষম না হয়, তবে তাকে পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ সম্পন্ন করতে হবে৷ ‘দম’ ওয়াজিব হবেনা৷ * মহিলারা তাওয়াফের সময় কখনও ইজতিবা এবং রমল করবে না৷ এবং সাঈ করার সময় সবুজ বাতি দু‘টির মধ্যবর্তী স্থানে দৌঁড়িয়ে চলবে না৷ বরং নিজেদের স্বাভাবিক গতীতে চলবে৷ এবং পুরুষদের ভীড়ের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করতে যাবে না৷ এমনকি উহাতে হাত দ্বারা স্পর্শও করবে না এবং মাকামে ইবরাহীমের পিছনে তাওয়াফের দু’রাকা‘আত নামাজও পড়বে না৷ হারাম শরীফে যে স্থানে সহজ হয়, সে স্থানে পড়বে৷ নাবালগের ইহরাম: * যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক শিশু চালাক ও বুদ্ধিমান বলে প্রতীয়মান হয়, তবে সে নিজেই ইহরাম বেঁধে হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করবে এবং প্রাপ্ত বয়ষ্কদের মত সকল কাজ সম্পন্ন করবে৷ পক্ষান্তরে যদি সে একান্তই অবুঝ শিশু হয় তবে তার অভিভাবক (পিতা , বড় ভাই, চাচা ইত্যাদি) তার পক্ষ হতে ইহরাম বাঁধবে৷ শিশুকে ইহরামের নিষিদ্ধ কাজ হতে বিরত রাখা অভিভাবকের কর্তব্য৷ কিন্তু যদি শিশু কোন নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে তবুও সেজন্য কোন ‘দম’ অথবা সদকা শিশু বা তার অভিভাবক কারও উপর ওয়াজিব হবেনা৷ * শিশুর ইহরাম ওয়াজিব নয়৷ সুতরাং যদি সে হজ্জের যাবতীয় কাজ ছেড়ে দেয় অথবা আংশিক ছেড়ে দেয়, তবে তার উপরে ‘দম’ অথবা সদকা এবং ক্বাযা ওয়াজিব হ েনা৷ * বুদ্ধিমান শিশু হজ্জের যে সকল কাজ নিজে সম্পাদন করতে পারে, তা নিজে নিজেই সমাপন করবে আর যা নিজে সম্পন্ন করতে পারবেনা তা তার অভিভাবকগণ সম্পন্ন করে দিবে৷ অবশ্য তাওয়াফের নফল নামাজ নিজে পড়বে৷ অভিভাবক পড়লে আদায় হবে না৷ * নিয়ত, তালবিয়াহসহ হজ্জের যেসব আমল শিশুরা করতে পারেনা সে সব আমলগুলো শিশুর পক্ষ হতে তার অভিভাবকগণ করে দিবে৷ সেলাই করা কাপড় বদলিয়ে তাকে সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করাবে৷ * অবুঝ শিশুর অভিভাবক নিজের তাওয়াফের নিয়তের সঙ্গে শিশুর পক্ষ থেকে ও নিয়ত করে নিবে৷ তারপর শিশুকে সঙ্গে নিয়ে তাওয়াফ করবে৷ এভাবে এক তাওয়াফেই উভয়ের তাওয়াফ হয়ে যাবে৷ তালবিয়াহ্‌ (লাব্বাইকা পুরা পাঠ করা): لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْك. لَبَّيْكَ لاَشَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْك. اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْك. لاَشَرِيْكَ لَك. “লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল-হামদা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক৷” অর্থাৎ, আমি উপস্থিত হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত৷ আমি উপস্থিত তোমার কোন শরীক নাই, আমি উপস্থিত৷ নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বও তোমারই, তোমার কোন শরীক নাই৷ অতঃপর দরুদ শরীফ পাঠ করবে এবং যা ইচ্ছা প্রর্থনা করবে৷ তালবিয়াহ্‌ পাঠ করার পর এ দু‘আ করা মুস্তাহাব- اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ وَاَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَالنَّارِ. উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্‌ আলুকা রিযাকা ওয়াল জান্নাহ ওয়া আউযুবিকা মিন গাজাবিকা ওয়ান নারি”৷ অর্থাত্, হে আল্লাহ পাক আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের প্রত্যাশা করছি এবং আপনার ক্রোধ ও জাহান্নাম হতে পানাহ চাচ্ছি৷ তালবিয়াহকে চার ভাগ করে পাঠ করা মুস্তাহাব৷ চার ভাগ নিম্নরূপ- ১৷ لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْك. লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, ২৷ لَبَّيْكَ لاَشَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْك. লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক, ৩৷ اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْك. ইন্নাল-হামদা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, ৪৷ لاَشَرِيْكَ لَك. লা-শারী-কা লাক্‌” (মা‘আরিফুস সুনান ৬খন্ড ৩০পৃষ্ঠা) যখনই তালবিয়াহ পড়বে তিনবার পড়তে হবে৷ তারপর দরুদ শরীফ পাঠ করবে৷ এবং উপরোল্লেখিত দু‘আটি পাঠ করবে৷ তালবিয়াহ বেশী বেশী পড়া মুস্তাহাব৷ দাড়িয়ে, বসে, শুয়ে, চলন্ত অবস্থায়, ওযু ও বে-ওযু সর্বাবস্থায় পড়া যায়৷ বিশেষ করে ব্যক্তির অবস্থা পরিবর্তনের সময় পড়া মুস্তাহাব৷ যেমন- দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসার সময়, বসা থেকে দাঁড়ানোর সময়, ঘর থেকে বের হওয়ার সময়, ঘরে প্রবেশের সময়, গাড়িতে উঠার সময়, গাড়ি থেকে নামার সময়, উচু স্থানে উঠূার সময়, নিচুতে নামার সময় ইত্যাদি৷ মসজিদে হারাম, মিনার মসজিদে খাইফ, আরাফার মসজিদে নামিরায়, তালবিয়াহ নিচুস্বরে পাঠ করা৷ পুরুষরা তালিবিয়াহ উচ্চঃস্বরে এবং মহিলারা নিম্নস্বরে পাঠ করবে৷ তালবিয়াহ পাঠের শুরু ও শেষ সময়- ইহরামের নিয়ত করার সময় থেকে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শুরু করার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত৷ মিকাত ছাড়ার আগে অবশ্যই অন্তরের নিয়ত করতে হবে। ইহরামের নিয়ত- اَللّهم انى اريد العمرة فيسرها لى وتقبلها منى “আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল ওমরাতা ফা-ইয়াস্‌সির-হা-লী ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী” অর্থাত্ হে আল্লাহ পাক! আমি ওমরাহ পালনের নিয়ত করছি৷ অতঃপর তা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তা আমাদের তরফ থেকে কবুল করে নিন৷ অথবা এভাবে নিয়ত করবে- اللهم لبيك عمرة “আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা ওমরাতান” অর্থাত্, হে আল্লাহ পাক! আমি ওমরার জন্য হাজির৷ ওমরা যদি অন্যের পক্ষ থেকে হয় তবে অন্তরের নিয়তের সাথে (لَبَّيْكَ عُمْرَةً عَنْ) লাব্বাইকা ওমরাতান আন এর পরে তার নাম উচ্চারণ করতে হবে। যদি আরবী শব্দ মনে না থাকে তবে শুধু বাংলায় নিয়ত করলেই চলবে৷ অতঃপর পুরুষরা উচ্চঃস্বরে আর মহিলারা নিম্নস্বরে তিনবার তালবিয়াহ্‌ পাঠ করবে৷ তাহলে ইহরাম বাঁধা হয়ে গেলো৷ কাবা ঘর দেখার আগ পর্যন্ত তালবিয়া ও অন্যান্য সব ধরনের দুয়া দুরুদ শরীফ বেশী বিশী পড়তে হবে। তালবিয়া হলোঃ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيْكَ لَكَ) (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক,লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক,ইন্নাল হামদা অন্নি‘য়মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক লা শারীকা লাক )। মক্কাতে পৌঁছার পর কাজসমূহঃ
* মক্কা মুকাররামায় প্রবেশ করার পূর্বে গোসল করা সুন্নত ৷ * যখন মক্কা শরীফ দৃষ্টিগোচর হবে তখন এ দু‘আ পড়বে- اللهم اجعل لى بها قرارا وارزقنى فيها رزقا حلالا “আল্লাহুম্মাজ আল্লি বিহা কারারান ওয়ার যুকনি ফিহা রিযকান হালালান” * অত্যন্ত বিনয় ও নম্রতার সহিত তালবিয়াহ পাঠ করতে করতে পরিপুর্ণ আদব ও সম্মান প্রদর্শন করে মক্কায় প্রবেশ করবে৷ দিবা-ভাগে বা রাত্রি বেলা যখন ইচ্ছা মক্কা শরীফে প্রবেশ করা জায়েয৷ তবে দিনের বেলা প্রবেশ করাই উত্তম৷ মসজিদুল হারামে প্রবেশ: বায়তুল্লাহ শরীফের মসজিদের নাম মসজিদে হারাম৷ বায়তুল্লাহ শরীফ মসজিদে হারামের ঠিক মধ্যস্থানে অবস্থিত৷ মক্কা শরীফে প্রবেশ করার সাথে সাথেই মাল-সামানা গুছিয়ে সর্বাগ্রে মসজিদে হারামে উপস্থিত হওয়া মুস্তাহাব৷ * তালবিয়াহ্‌ পাঠ করতে করতে অত্যন্ত বিনয় ও নম্রতার সাথে আল্লাহ তা‘আলার পাক দরবারের গৌরব ও মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক মসজিদে হারামে ‘বাবুস সালাম’ দরজা দিয়ে প্রবেশ করা মুস্তাহাব৷ এবং প্রথমে ডান পা ভিতরে রেখে এ দু‘আ পাঠ করবে- بسم الله والصلوة والسلام على رسول الله اللهم افتح لى ابواب رحمتك “বিসমিল্লাহি, ওয়াস সালাতু ওয়াসালামু আলা রাসুলিল্লাহি, আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা”৷ অতঃপর ই’তেকাফের নিয়ত করবে৷ * মসজিদে হরামের প্রবেশ করার পর যখন বায়তুল্লাহ শরীফের দিকে চোখ পড়বে তখন তিনবার الله اكبر، لااله الا الله “আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” পাঠ করবে৷ এবং বায়তুল্লাহ শরীফের দিকে তাকায়ে হাত উঠায়ে দু‘আ করবে৷ দু‘আর আগে দরুদ শরীফ পাঠ করবে৷ এ সময় দু‘আ কবুল হয়৷ যে দু‘আ ইচ্ছা করতে পারবে তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ হলো আল্লাহ তা‘আলার কাছে হেদায়াত চাওয়া এবং বিনা হিসেবে জান্নাত লাভের প্রার্থনা করা৷ এ সময় দাঁড়িয়ে দু‘আ করা মুস্তাহাব৷ * মসজিদে হারাম পৃথিবীর সকল মসজিদ অপেক্ষা উত্তম৷ এতে নামাজ পড়ার সওয়াব অত্যন্ত বেশী৷ এক নামাজের সওয়াব এক লক্ষ নামাজের সমান৷ কিন্তু সওয়াবের আধিক্য শুধূ ফরয নামাজের সহিত নির্দিষ্ট৷ নফলের সওয়াব এত না৷ নফল নামাজ ঘরে পড়াই উত্তম৷ জামা‘আতের সাথে আদায়কৃত এক দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সওয়াব হিসাব করলে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ নামাজের সমান হয়৷ তাওয়াফ: তাওয়াফের সংজ্ঞা- তাওয়াফের শাব্দিক অর্থ কোন কিছুর চারিদিকে প্রদক্ষিণ করা৷ হজ্জ/ওমরার অধ্যায়ে তাওয়াফ অর্থ কা‘বা ঘরের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করা, অর্থাত্ হাজারে আসওয়াদ হতে ডান দিকে প্রদক্ষিণ শুরু করে হাতীমসহ কা‘বা ঘরের চতুর্দিকে ঘুরে পুনরায় হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত পৌঁছলে তাওয়াফের এক চক্কর বা একবার প্রদক্ষিণ করা হয়৷ এভাবে সাতবার প্রদক্ষিণ করলে এক তাওয়াফ সম্পূর্ণ হয়৷ তাই এক তাওয়াফের জন্য সাতবার প্রদক্ষিণ করতে হয়৷ তাওয়াফ করার সুন্নত তরীকাঃ
ওযু করে পাক-সাফ হয়ে কা‘বা শরীফে এসে প্রথমে তাওয়াফের নিয়ত এভাবে করবে: اللهم انى اريد طواف بيتك المحرم، فيسره لى وتقبله منى. উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইনী্ন উরীদু তাওয়াফা বাইতিকাল মুহাররম, ফায়াচ্ছিরহু-লী ওয়া তাকাব্বাল্‌হু মিন্নী সাবাআ'তা আশ্ওয়াতি্বন লিল্লাহি তায়া'লা।“হে আল্লাহ! আমি আপনার সম্মানিত গৃহের তাওয়াফ করতে চাই, অতএব আপনি এটা আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং কবুল করে নিন”৷ বায়তুল্লাহর যে কোণায় হাজারে আসওয়াদ বিদ্যমান, সে কোণায় হাজারে আসওয়াদকে ডানপাশে রেখে দাঁড়াবে৷ একটু সামনে অগ্রসর হয়ে এবং হাজারে আসওয়াদকে সামনে রেখে নামাজের তাকবীরে তাহরীমার সময় যেভাবে হাত উঠাতে হয় সেভাবে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে بسم الله الله اكبر لااله الا الله ولله الحمد والصلوة والسلام على رسول الله “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লিল্লাহিল হাম্‌দ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সলামু আলা রাসূলিল্লাহ” বলা৷ অতঃপর হাত নামিয়ে সম্ভব হলে হাজারে আসওয়াদের উপর হাত দু’টো এমনভাবে রাখবে যেমনভাবে সিজ্‌দার সময় রাখা হয়৷ এরপর আদবের সাথে উক্ত পাথরে চুমু দেয়া। সম্ভব না হলে উক্ত পাথরের দিকে হাত বা অন্য কিছু দিয়ে ইশারা করে তাতে চুমু দেয়া৷ মনে রাখতে হবে হাজারে আসওয়াদে চুমু দিতে যেয়ে কাউকে যেন কষ্ট না দেয়া হয় এবং তাড়াহুড়া না করা হয়৷ কারণ কাউকে কষ্ট দেয়া হারাম৷ অতঃপর ডানদিকে কা‘বা শরীফের দরজার দিকে অগ্রসর হবে৷ তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী (কা‘বা ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ) পৌছে তা শুধু ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করতে হবে৷ সম্ভব না হলে এর প্রয়োজন নেই, ইশারা করার জন্য হাত উঠাতে হবে না৷ পুনরায় হাজারে আসওয়াদের দিকে চক্কর ঘুরে بسم الله الله اكبر لااله الا الله ولله الحمد والصلوة والسلام على رسول الله “বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া লিল্লাহিল হাম্‌দ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সলামু আলা রাসূলিল্লাহ” বলে তাতে চুমু দিবে এবং সম্ভব না হলে হাত বা হাতের তালুতে অথবা অন্য কিছূ দিয়ে ইশারা করে তাতে চুমু দিতে হবে৷ এভাবে সাত চক্কর পূর্ণ করতে হবে৷ সপ্তম চক্করের পর অষ্টমবার পূণরায় হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন প্রদানের সহিত তাওয়াফ শেষ করবে৷ এবার এক তাওয়াফ পূর্ণ হয়ে গেলো৷ তাওয়াফের পর মাকামে ইবরাহীমের পিছনে অথবা হারাম শরীফের যে কোন স্থানে দু’রাকা‘আত ‘ওয়াজিবুত তাওয়াফ’ নামাজ আদায় করতে হবে৷ এটি প্রতি সাত চক্কর তাওয়াফের পর ওয়াজিব৷ প্রথম রাকাআ'তে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকাআ'তে সূরা ইখলাস পাঠ করবে৷ তারপর যমযমের পানি পান করে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করে বাবুস্‌-সাফার পথে বের হয়ে সাফা - মারওয়ায় সাঈ করবে৷ তাওয়াফের শর্ত ৬টি৷ তিনটি শুধু হজ্জের তাওয়াফের জন্য এবং তিনটি সকল তাওয়াফের জন্য৷

তাওয়াফের রুকন/ফরযসমূহ-

(১) তাওয়াফের অধিকাংশ চক্কর পূর্ণ করা৷ (২) বায়তুল্লাহর বাইরে, মসজিদে হারামের ভিতরে তাওয়াফ করা৷ (৩) নিজে তাওয়াফ করা৷ (কোন কিছুর উপর আরোহণ করে হলেও৷)

তাওয়াফের ওয়াজিবসমূহ-

(১) তাহারাত অর্থাত্ গোসল ফরয থাকলে তা করে নেয়া এবং ওযু না থাকলে ওযু করে নেয়া৷ (২) শরীর ঢাকা৷ (৩) কোন কিছুতে আরোহণ না করে তাওয়াফ করা (মা‘যুর অর্থাৎ বৃদ্ধ, অসুস্থ ও রুগ্ন-অক্ষম ব্যক্তির জন্য অবশ্য আরোহণ করে তাওয়াফ করা জায়েয৷) (৪) নিজের ডানদিক হতে তাওয়াফ শুরু করা৷ (৫) হাতীমসহ বায়তুল্লাহর উত্তর দিকে বায়তুল্লাহ সংলগ্ন অর্ধচক্রাকৃতি দেয়াল ঘেরা জায়গা তাওয়াফ করা৷ (৬) সবগুলো চক্কর পূর্ণ করা৷ (৭) তাওয়াফের শেষে দু’রাক‘আত নামাজ পড়া৷ ওয়াজিবের হুকুম- যদি কেউ কোন ওয়াজিব ছেড়ে দেয় তাহলে তাকে পুনরায় তাওয়াফ করতে হবে৷ যদি কেউ সেটা না করে তবে ‘দম’ বা কুরবানী ওয়াজিব হবে।

তাওয়াফের সুন্নতসমূহ-

(১) হাজারে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা৷ (২) ইজতিবা করা (অর্থাত্ ইহরামের চাঁদর ডান বগলের নীচে দিয়ে এনে বাম কাঁধে জড়ানো) (৩) হাজারে আসওয়াদে চুমু প্রদান করা বা হাতে ইশারা করে তাতে চুমু দেয়া৷ (৪) প্রথম তিন চক্করে রমল করা (অর্থাত্ বীরদর্পে হাত দুলিয়ে দ্রুত পায়ে চলা) (৫) বাকী চক্করগুলোতে রমল না করা৷ বরং ধীরে-সুস্থে তাওয়াফ করা৷ (৬) সাঈ ও তাওয়াফের মাঝে ইস্তিলাম (হাজারে আসওয়াদে চুমু প্রদান বা হাত কিংবা অন্য কিছু দিয়ে ইশারা করে তাতে চুমু দেয়া) করা৷ (এটা সে ব্যক্তির জন্য, যে তাওয়াফের পর সাঈ করে৷) (৭) হাজারে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে দুই হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো৷ (৮) তাওয়াফের শুরুতে হাজারে আসওয়াদের দিকে মুখ করা৷ (৯) চক্করগুলো বিরতি না দিয়ে পরপর করা৷ বিঃদ্রঃ- মহিলাদের জন্য রমল ও ইযতিবা করতে হবে না৷

[ সকল মাসয়ালা,আয়াত ও হাদিস ইত্যাদি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা । দয়া করে অভিজ্ঞ আলেমের দ্বারা যাচাই করে নিবেন ]







ওমরা হজ্জ করতে কত টাকা লাগে?

****আলহামদুলিল্লাহ্‌,  আমাদের ওমরাহ প্যাকেজ প্রতি একজনের জন্য মাত্র ৭৫০০০/- (পচাত্তর হাজার টাকা, পরিবর্তনশীল  ) থেকে শুরু ।   যা বাংলাদেশের সকল হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে সেরা রেট । তবে এই রেট পরিবর্তনশীল । আপনি চাইলে প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও সুযোগ সুবিধা নিতে পারবেন । বিস্তারিত 
আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাঃ 
Cell: 01728682856
Khosnur Alam
M. A. M INTERNATIONAL TRAVELS & TOURS
Hemaetpur,Savar,Dhaka
E-mail : khosru22@gmail.com


Labels:

Monday 4 December 2017

আইএলটিএস বই সংগ্রহ !! -আই ই এল টি এস বই লাগবে ? - ielts এর বই - Free Ielts Bangla Books Download-Ielts Book List in Bangladesh- Ielts Bangla Book pdf


আইইএলটিএস বই,আই ই এল টি এস বই ,ielts এর প্রস্তুতি ,ielts টিপস ,আইইএলটিএস প্রস্তুতি ,

আইইএলটিএস টিপস , আইইএলটিএস কোচিং, ielts কোর্স ,কেমব্রিজ বই pdf , 
ইংরেজি গ্রামার শেখার কৌশল,ইংরেজি শেখার বই ডাউনলোড,বেসিক ইংলিশ গ্রামার বই,
ইংরেজি গ্রামার শিখুন,ইংরেজি গ্রামার শেখার সহজ উপায়,ইংরেজি গ্রামার tense,
ইংরেজি গ্রামার শিক্ষা,english পানি বই,

Image result for Ielts books




আইএলটিএস বই সংগ্রহ !! -আই ই এল টি এস বই লাগবে?   - Ielts এর বই - FreeIELTSs Bangla Books Download-IELTS Book List in Bangladesh- Ielts Bangla Book pdf


আইইএলটিএস (IELTS) নিয়ে দারুন সব বইয়ের বিশাল সংগ্রহশালা । নানা জায়গা থেকে আমি রাসেল আহমেদ রাজু আপনাদের জন্য দারুন সব বইয়ের ডাউনলোড করার লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি । আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন । ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।

1. Cambridge - Raymond Murphy - English Grammar in Use(with answers) - 2nd Edition


Related image




********

2. Cambridge-Action.Plan.for.IELTS

Related image



*******

3. Cambridge_Grammar_for_IELTS_Student

Image result for Cambridge_Grammar_for_IELTS_Student



*******

4. Check Your English Vocabulary for IELTS

Image result for Check Your English Vocabulary for IELTS




*******

5. Common+Mistakes+in+IELTS+-+Itermidiate

Image result for Common+Mistakes+in+IELTS-+Intermediate




**********

6. English Grammar For Dummies 2nd ed

Image result for English Grammar Dummies 2nd ed



*********

7. Focus on IELTS

Image result for Focus on IELTS





********

8. IELTS Secrets

Image result for IELTS Secrets





*********

9. Improve+your+IELTS+writing+skills

Image result for Improve+your+IELTS+writing+skills





********

10. Insight_extra_into_IELTS_2

Image result for Insight extra into IELTS 2




******


11. Kaplan_IELTS_2010_Edition

Image result for Kaplan IELTS 2010 Edition



*******


12. ObjectiveIELTSIntermediateWorkbook

Image result for ObjectiveIELTSIntermediateWorkbook


*******

13. Target_Band_7__How_to_Maximize_Your_Score__IELTS

Image result for Target_Band_7__How_to_Maximize_Your_Score__IELTS





নানা জায়গা থেকে আমরা আপনাদের জন্য দারুন সব বইয়ের ডাউনলোড করার লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি । আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন । ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন ।
ই-কমার্স পন্য কিনতে ভিজিট করুনঃ https://j2gmart.com

বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা,জব ভিসা,ভিজিট ভিসা,এয়ার টিকেট,ওমরাহ ও হজ্জের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের সমাহার ।
ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন। আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকি ।


Call Us To Know More 
===========================
Saifur Rahman
01909110172 (WhatsUp, IMO, Viber also Available)
Inbox  @Facebook 
Follow @Medium 
Follow @Youtube
CEO 
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan 
1207 Dhaka, Bangladesh

Google ম্যাপের মাধ্যমে আমাদের অফিসে আসুনঃ





স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করায়  আমাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা । আমরা  UniAgents এর গোল্ড মেম্বার সারটিফাইড । আর যেসব কলেজ ও ইউনিভার্সিটির কথা আমরা উল্লেখ করেছি ওই সব প্রতিষ্ঠানের আমরা  Certified Agent . আপনার কাংখিত দেশটিতে আমাদের নিজস্ব টিম আছে যারা আপনার ওখানকার একোমোডেশন ও অন্যান্য যাবতীয় বিষয়ে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ ।

ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা | ইংল্যান্ডে পড়াশুনা | ইংল্যান্ডে পড়ালেখা | ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা । ইউকে তে পড়াশুনা ।স্টুডেন্ট ভিসা লন্ডন | Study In UK From Bangladesh

ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা | ইংল্যান্ডে পড়াশুনা | ইংল্যান্ডে পড়ালেখা | ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা । ইউকে তে পড়াশুনা ।স্টুডেন্ট ভিসা লন্ডন | Study In UK From Bangladesh
ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা | ইংল্যান্ডে পড়াশুনা | ইংল্যান্ডে পড়ালেখা | ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা । ইউকে তে পড়াশুনা ।স্টুডেন্ট ভিসা লন্ডন | Study In UK From Bangladesh



আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলি পড়তে পারেন ঃ 


Labels: