অস্ট্রিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চ শিক্ষা ও খরচপাতি নিয়ে ফুল গাইডলাইনস !!
Study in Austria From Bangladesh |
আপনি কেন অস্ট্রিয়াতে পড়বেন ?
অস্ট্রিয়া সেন্ট্রাল ইউরোপের একটি অর্থনৈতিক শক্তিশালী সেনজেনভুক্ত দেশ। এ দেশের প্রধান ভাষা জার্মান ( অস্ট্রীয় জার্মান )। রাজধানী ভিয়েনা, যা বিশ্বের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজধানী এবং ভিয়েনা ২০১৬ সহ অনেক বারই বসবাসের জন্য সেরা শহর (১ নম্বর ) হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। । যদি ইউরোপে উচ্চশিক্ষা ও উন্নত ক্যারিয়ার নিয়ে ভেবে থাকেন, তাহলে অস্ট্রিয়া হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ দেশ। এতে ৯ টি রাজ্য রয়েছে। দেশটির আয়তন ৮৩,৮৭৯ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৮৬,৬২,৫৮৮ ( ২০১৫ পর্যন্ত)। দেশটির মাথাপিছু আয় খুবই ভাল ৪৭,১৭৯ মার্কিন ডলার ( ২০১৫ পর্যন্ত )। স্বাক্ষরতার হার ৯৯%। অস্ট্রিয়ার মুদ্রার নাম ইউরো। এর উত্তরে চেক প্রজাতন্ত্র ও জার্মানি, দক্ষিনে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, পূর্বে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্চটেইন্সটাইন অবস্থিত।
অস্ট্রিয়া আবেদনের আগে যা জানা দরকার
অস্ট্রিয়াতে আপনি HSC এরপর সরাসরি ব্যাচেলরে ভর্তি হতে পারবেন না। বাংলাদেশ থেকে ১২+ শিক্ষার যোগ্যতা থাকতে হবে এবং সেটা চলমান থাকতে হবে অর্থাৎ HSC এরপর বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলমান থাকতে হবে এবং আপনি যে বিষয়ে বাংলাদেশে পড়তেছেন ঐ বিষয়েই অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আপনি অস্ট্রিয়ায় গিয়ে সরাসরি ব্যাচেলর শুরু করতে পারবেন না। আপনাকে ওখানে গিয়ে প্রথমে Preparatory Course করতে হবে। তারপর একটা Exam নিবে, উপযুক্ত নম্বর পেলেই কেবল ব্যাচেলর শুরু করতে পারবেন।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় ও যাবতীয় তথ্যাবলি
অস্ট্রিয়াতে কিছু পুরাতন ও বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে। তার মধ্যে University of Vienna অন্যতম। এটি ১৩৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ইউরোপের ৩য় পুরাতন ইউনিভার্সিটি। অস্ট্রিয়ান সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলাদেশসহ থার্ড লিস্টভুক্ত দেশগুলোর জন্য কোন প্রকার টিউশন ফি প্রদান করতে হয় না। শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফি প্রদান করতে হয় (প্রায় ১৯ ইউরো প্রতি সেমিস্টার)। অস্ট্রিয়ার শিক্ষার মান বেশ ভাল এবং আন্তরজাতিকভাবে স্বীকৃত।
ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
- SSC Transcript and Certificate
- HSC Transcript and Certificate
- Bachelor Running Document ( If required )
- Bachelor Transcript and Certificate ( Applying for masters )
- Proof of Identity ( NID/Passport copy )
- IELTS Certificate ( If required )
- German language Certificate ( If required )
- Recommendation letter ( If applicable, applying for masters/PhD )
- Motivation letter ( If applicable, applying for masters/PhD )
বিঃদ্রঃ - সকল ডকুমেন্টস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে সত্যায়িতকরতে হবে। কোথায় এবং কিভাবে করবেন সেটা ইউনিভার্সিটি থেকে জেনে নিবেন।
শিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতাঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বাংলাদেশে থেকে ১২+ পড়াশোনা, যে কোন সরকার অনুমোদিত ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে ( ব্যাচেলর এর জন্য )। SSC and/or HSC তে কমপক্ষে ৫০% নম্বর ( জিপিএ ৩, স্কেল ৫ থেকে ), ব্যাচেলরে/মাস্টার্সে ৫০% নম্বর ( জিপিএ ২.৫০, স্কেল ৪ থেকে ) থাকা ভাল। ভাষাগত যোগ্যতাঃ জার্মান মাধ্যমে পড়ার জন্য জার্মান লেভেল B2, ইংরেজি মাধ্যমের জন্য IELTS 6 or Above থাকতে হবে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল যে, এই যোগ্যতা ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন রকম হয়।
বিঃদ্রঃ- জার্মান ভাষা আপনি চাইলে অস্ট্রিয়া গিয়েও শিখতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ থেকে শিখে যাওয়া ভাল।
আবেদনের সময় ও প্রক্রিয়াঃ
অস্ট্রিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সাধারণত বছরে ২ বার আবেদন করা যায়। একটি হচ্ছে সামার যার সময়সীমা (১ ডিসেম্বর - ৫ ফেব্রুয়ারী) এবং অন্যটি উইন্টার যার সময়সীমা (১ মার্চ - ৫ সেপ্টেম্বর)। ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য আপনাকে আপনার একাডেমিক মূল ও ফটোকপি ডকুমেন্টস (এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, ব্যাচেলর, মাস্টার্স) শিক্ষাবোর্ড/ইউনিভার্সিটি (রেজিস্ট্রার), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, অস্ট্রিয়ান কনস্যুলেট/এমব্যাসি থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এখানে বলে রাখা ভাল যে, আপনার মন্ত্রণালয় থেকে সত্তয়িত ডকুমেন্টস কনস্যুলেটে/এমব্যাসিতে জমা দিলে কনস্যুলেট/এমব্যাসি সেটা যাচাই/বাছাই এর জন্য ভিএফএস ঢাকা তে পাঠিয়ে দিবে ( ভিএফএস ফি বাবদ আনুমানিক ৪৩১২০ - ৪৭০০০ টাকা দিতে হবে)। ভিএফএস সবকিছু ঠিকঠাক পেলে সেটা কনস্যুলেট/এমব্যাসি সত্যায়িত করবে (কনস্যুলেট/এমব্যাসি ফি প্রতি পেজ ৪০ ইউরো)। তারপর আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটি তে অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম অনলাইনে অথবা ডাউনলোড করে পূরণ করে সত্তয়িত একাডেমিক ডকুমেন্টস সহ সব ডকুমেন্টস ইউনিভার্সিটি এর এডমিশন অফিসে অথবা স্কেন করে ( সত্যায়িত ডকুমেন্টস এবং পূরণ করা অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম ) অনলাইনে অ্যাপ্লাই এর সময় আপলোড করতে হবে। ইউনিভার্সিটি থেকে অফার লেটার পেতে সাধারণত ৮ - ১২ সপ্তাহ লাগে। উল্লেখ্য, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া (ভিএফএস প্রক্রিয়া/কনস্যুলেট) যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য কনস্যুলেট এ যোগাযোগ করুন।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহঃ
অস্ট্রিয়াতে বেশিরভাগ ইউনিভার্সিটিগুলোর ব্যাচেলর পড়ার মাধ্যম জার্মান, তবে মাস্টার্স ও পিএইচডি তে যথেষ্ট ইংরেজি মাধ্যম রয়েছে। যেহেতু বেশিরভাগ মাধ্যমই জার্মান, তাই জার্মান ভাষার যোগ্যতা হিসেবে German Language B2 লাগে আর ইংরেজি মাধ্যমের জন্য কমপক্ষে IELTS 6 লাগে। তবে আপনি জার্মান ভাষা চাইলে অস্ট্রিয়া গিয়েও শিখতে পারেন। অনেক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়েই জার্মান ভাষা শিখায়। সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোতে জার্মান ভাষা শিখতে প্রতি সেমিস্টার ৪৫০-৫০০ ইউরো এর মত লাগবে। তবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সেটা অনেক বেশি ( ১৫০০-২৫০০ ) ইউরো এর মত লাগবে। অস্ট্রিয়ায় ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং হতে অনেকটা দীর্ঘ সময় লাগে (৬-১২ মাস)।
কোর্স খুঁজুনঃ http://www.studienwahl.at/Content.N...
ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
অস্ট্রিয়ান এমব্যাসি বাংলাদেশে না থাকায় আপনাকে ভিসার জন্য পাশের দেশ ভারত যেতে হবে। তবে সেজন্য আপনাকে আগে এমব্যাসির ওয়েবসাইট এ গিয়ে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এমব্যাসির ওয়েবসাইট ও এপয়েন্টমেন্ট এর লিঙ্ক সহ প্রয়োজনীয় সকল লিঙ্ক নিচে দেওয়া আছে। তবে যদি আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে এমব্যাসি আপনাকে ভিসা দিতে বাধ্য। কারণ ভিসার অনুমোদন সাধারণত অস্ট্রিয়ান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (যেখানে আপনার Accommodation) থেকে আসে। ব্যাংক সল্ভেন্সি হিসেবে এমব্যাসি তে যাওয়ার আগে আপনাকে নিজের ব্যাংক একাউন্টে থাকা-খাওয়া খরচ বাবদ এক বছরের জন্য [ ৫,৮৯৭.১৬ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৪৯১.৪৩ ইউরো ( বয়স ২৪ পর্যন্ত হলে )/ ১০,৬৭৮.০৮ ইউরো অর্থাৎ প্রতি মাসে ৮৮৯.৮৪ ইউরো ( বয়স ২৪ এর উপরে হলে ) ] দেখাতে হবে, ব্লক একাউন্ট নয় (আপডেট ২০১৭)। তবে আপনার হোস্টেল/বাসা ভাড়া যদি প্রতি মাসে ২৮৪.৩২ ইউরো এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরও বেশি হবে ( কত হবে সেটা অস্ট্রিয়ান অথরিটি / এমব্যাসি বলে দিবে ) - আপডেট ২০১৭। আর সে টাকা ভিসা পাওয়ার পর উঠিয়ে ফেলতে পারবেন।
যদিও অস্ট্রিয়া ইউরোপের উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ। তারপরেও অস্ট্রিয়াতে বর্তমানে পার্ট - টাইম কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে গেছে। অস্ট্রিয়াতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য কাজের অনুমতি সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা (ব্যাচেলর) এবং ২০ ঘণ্টা (মাস্টার্স), তবে খুব তাড়াতাড়ি ২০ ঘণ্টা (ব্যাচেলর) ও ৪০ ঘণ্টা (মাস্টার্স/পিএইচডি) হতে পারে। তবে Semester Break এবং Summer vacation এ ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। থাকা - খাওয়া মাসে প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো এর মত লাগে। জার্মান ভাষা ভাল জানা থাকলে পার্ট টাইম কাজ পাওয়াটা সহজ। তবে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ৬ - ১২ মাসের খরচ নিয়ে আসা ভাল। বৈধভাবে একটানা ৫ বছর থাকার পর আপনি স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। পড়াশোনা শেষে ৬ মাস (তবে খুব তাড়াতাড়ি ১ বছরের হতে পারে) জব সার্চ ভিসা পাবেন। সব মিলিয়ে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রিয়া বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রিদের জন্য একটি উত্তম জায়গা।
কিছু জব ওয়েব পোর্টালঃ
Manpower: http://www.manpower.at
Rantasa: http://www.rantasa.at
Adecco: http://www.adecco.at
ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আমরা চাই যে, আপনি নিজের হাতে পুরো প্রসেসিংটা করেন । কিন্তু নানারকম জটিলতা থাকার কারনে অনেকেই সাধারনত এই ঝামেলায় যেতে চান না । সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আমাদের হেল্প নিতে পারেন। আমরা পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকি ।
Call Us To Know More
===========================
===========================
Worldwide Education & Migration Services-WEMS
Vip Tower, Noya Paltan
1207 Dhaka, Bangladesh
কেন আপনি আমাদের সাহায্য নিবেন?
- আমাদের সুইডেনে নিজস্ব টিম আছে যারা আপনাকে ওখানে থাকা, জব এমনকি একাডেমীক হেল্প ও করতে পারবে । এছাড়া আমাদের টিম আপনাকে আরও বিশেষ সাপোর্ট দিতে পারবে ।
- সুইডেনের স্টুডেন্ট ভিসা বিষয়ে আমরা বিশেষ ভাবে দক্ষ ।
- আমরা ইউনিএজেন্টের গোল্ড মেম্বার । তাই আপনি আমাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন ।
- আমাদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত অনেক স্টুডেন্টস সুইডেনে গিয়েছেন ।
Google ম্যাপের মাধ্যমে আমাদের অফিসে আসুনঃ
হাতে সময় থাকলে আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলি পড়তে পারেন ঃ
Keywords:
Study in Austria from Bangladesh,Austrian embassy in Bangladesh,Austria student visa requirements for Bangladeshi,Austria consultant in Bangladesh,austria student visa requirements for Bangladeshi students
Labels: স্টুডেন্ট ভিসার তথ্য
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home